চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে স্টামফোর্ড ব্রিজে চেলসিকে ১-৩ গোলে উড়িয়ে ৪০ বছর পর ফাইনালে পা রাখল দিয়েগো সিমিওনের দল।
তাই ২৪ মে লিসবনের ফাইনালে দেখা হচ্ছে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে। অর্থাৎ ‘অল-মাদ্রিদ ফাইনাল’।
ম্যাচের শুরুতে অবশ্য চেলসির দাপট ছিল লক্ষণীয়। ৩৬ মিনিটেই ফার্নান্দো তোরেস বল জড়িয়ে দেন অ্যাতলেটিকোর জালে। হোসে মরিনহোর দলের দুর্ভোগ অপেক্ষা করছিল ঠিক এরপরই। ৪৪ মিনিটে অ্যাতলেটিকোকে সমতায় ফেরান আদ্রিয়ান লোপেজ। ১-১ সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় দুদল।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬০ মিনিটেই পেনাল্টি থেকে গোল আদায়ে এতটুকু ভুল করলেন না সিমিওনের অন্যতম মূল অস্ত্র দিয়েগো কস্তা। চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি কস্তার অষ্টম গোল। মরিনহোর বুকে চূড়ান্ত শেল দাগলেন আরদা তুরান, ঠিক ৭২ মিনিটে। দুই লেগ মিলিয়ে চূড়ান্ত স্কোরলাইন চেলসি ১:৩ অ্যাতলেটিকো। বল দখলেও এগিয়ে অ্যাতলেটিকো, ৫২ শতাংশ।
অ্যাতলেটিকোর জয়ের মূল নায়ক কে—তা বের করতে হিমশিমই খেতে হবে। তবে আদ্রিয়ান, কস্তা, তুরানের সঙ্গে আরেকটি নামও বলতে হবে। তিনি কুর্তোয়া। অ্যাতলেটিকোর এ গোলরক্ষকের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সও চেলসির পরাজয়ে অনেকাংশে ‘দায়ী’!
স্টামফোর্ড ব্রিজকে ‘শোকের চাদরে’ ঢেকে চরম উল্লাসে মাতেন কস্তারা। ১৯৭৪ সালের পর দল ফাইনালে। অ্যাতলেটিকোকে ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্ব এনে দিতে পারলে সিমিওনে হয়ে যাবেন ইতিহাসের অংশ। পারবেন তিনি অ্যাতলেটিকোর স্বপ্নসারথি হতে?