বাংলাকে দাফতরিক ভাষা করতে জাতিসংঘে প্রস্তাব তোলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

বাংলাকে দাফতরিক ভাষা করতে জাতিসংঘে প্রস্তাব তোলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাকে জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা করতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এ প্রস্তাব উত্থাপনও করা হয়েছে।

রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে সোমবার একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘে সর্বপ্রথম জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলায় ভাষণ দিয়েছেন। এখন আমিও জাতিসংঘে বাংলা ভাষায় ভাষণ দিয়ে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলা ভাষাকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে সকলকে কাজ করতে হবে। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিদেশ থেকে মোবাইল আমদানি করা হলে তাতেও বাংলা কিবোর্ড থাকতে হবে। অন্যথায় আমদানি করতে দেওয়া হবে না।

একুশে পদকপ্রাপ্তদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে অনেকেই আমাদের মাঝে নেই। তবে তাদের রেখে যাওয়া কাজগুলো বাঙালি জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। এছাড়া যারা  বেঁচে আছেন তাদের আরও কাজ করে যেতে হবে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একুশে পদক ২০১২ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করেন।

রাষ্ট্র ও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বিশিষ্ট ১৫ ব্যক্তিকে এবারের একুশে পদক দেওয়া হয়।

পদকপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে এককালীন নগদ এক লাখ টাকাসহ ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক ও একটি সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয়।

চলতি বছর একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন- ভাষা আন্দোলনে মমতাজ বেগম (মরণোত্তর); শিল্পকলায় মোবিনুল আজিম (মরণোত্তর), তারেক মাসুদ (মরণোত্তর), ড. ইনামুল হক, মামুনুর রশীদ ও অধ্যাপক ড. করুণাময় গোস্বামী; সাংবাদিকতায় এহতেশাম হায়দার চৌধুরী (মরণোত্তর), আশফাক মুনীর চৌধুরী (মিশুক মুনীর) (মরণোত্তর) ও হাবিবুর রহমান মিলন।

শিক্ষায় অধ্যাপক ড. অজয় কুমার রায়, ড. মনসুরুল আলম খান, ড. একে নাজমুল করিম (মরণোত্তর); বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক বরেণ চক্রবর্তী; সমাজসেবায় শ্রীমৎ শুদ্ধানন্দ মহাথের এবং ভাষা ও সাহিত্যে ড. হুমায়ুন আজাদ (মরণোত্তর)।

একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর