ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজনভ্যানে হামলা চালিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশপ্রাপ্ত আসামিসহ জেএমবি ৩ সদস্যদের ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় নির্দেশ ছিল ভালুকা থানা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান কামালের।
আজ বুধবার দুপুরে র্যাবের সদর দফতরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ছিনতাইয়ের ঘটনায় নেতৃত্বদানকারী কামাল হোসেন ওরফে সবুজ।
মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে গ্রেফতার করে র্যাব।
আটককৃতদের উপস্থিতিতে রাজধানীর উত্তরায় র্যাবের সদর দফতরের এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। সেখানে ছিনতাইকারী দলটির দলনেতা কামাল হোসেন ওরফে সুবজ এসব তথ্য জানান।
আটককৃত অন্যরা হলো- মোঃ সোহেল রানা (২৮), মোরশেদ আলম (২২), আনোয়ার হোসেন (৪০), মোঃ বাছির উদ্দিন (২০), মোঃ ইউসুফ আলী (২০), মোঃ ইলিয়াস উদ্দিন (৩৪) এবং আবু বকর সিদ্দিক (২৭)।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, কামাল উদ্দিন সবুজ এ গ্রুপের দলনেতা। তিনি ভালুকার একটি কোচিং সেন্টারের মালিক।
এদিকে কামাল উদ্দিন সবুজ সাংবাদিকদের জানান, তিনি আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার ভাষ্যানুযায়ী ভালুকা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আতাউর রহমান কামাল ওরফে যুবরাজ জঙ্গি ছিনতাইয়ের মূল পরিকল্পনাকারী ও হোতা। আতাউর রহমান কামালই জঙ্গিদের পরিকল্পনার কথা জানান। এ জন্য সব ব্যবস্থা যুবরাজই করেন। এ ছাড়া কাজের জন্য তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে নগদ দিয়েছেন।
তবে র্যাবের লিগ্যাল এ-মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক হাবিবুর রহমান তাৎক্ষণিক সবুজের বক্তব্যকে আত্মরক্ষার কৌশল বলে উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তিনি দাবি করেন, আটককৃতরা সকলেই জঙ্গি। তার মতে, কোনো অপরাধী আটক হলেই নিজেকে রক্ষায় রাজনৈতিক আশ্রয়ের কথা বলে। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার প্রচার তাদের একটি কৌশল।
উল্লেখ্য, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশালের সাইনবোর্ড এলাকায় পুলিশের প্রিজনভ্যানে ঝটিকা আক্রমণ চালিয়ে এবং ১ পুলিশকে হত্যা করে জেএমবির দণ্ডপ্রাপ্ত জেএমবি মজলিসে শুরা সদস্য সালাহউদ্দিন ওরফে সালেহীন, হাফেজ মাহমুদ ওরফে রাকিব হাসান ও জাহিদুল ইসলাম ওরফে মিজান ওরফে বোমা মিজানকে ছিনিয়ে নেয় জঙ্গিরা।
এদের মধ্যে সালাহউদ্দিন ও হাফেজ মাহমুদ ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এবং বোমা মিজান যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি।
ঘটনার দিন বিকালে হাফেজ মাহমুদকে টাঙ্গাইলের পুলিশ গ্রেফতার করে এবং রাতে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান