যেকোনো সময় আমাদের যে কারোরই ঠাণ্ডা লাগতে পারে। তাই আমাদের তা প্রতিরোধ করতে গেলে কিছু পদ্ধতি জানা প্রয়োজন। নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু নিয়ম অনুসরণ করলে ঠাণ্ডা আরো দ্রুত সেরে যাবে।
ঠাণ্ডা লাগলে কী করণীয় সে সম্পর্কে ৮টি টিপস নিচে দেয়া হলো-
১. ডাক্তার দেখান: অনেকে মনে করেন, ঠাণ্ডা লাগলে সেটি নিজে নিজেই ঠিক হয়ে যাবে। এই সূত্রটি আসলে সব সময় খাটে না। অনেক সময় তা হিতে বিপরীতও হয়। তাই একে অবহেলা না করে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। একটি কথা মনে রাখবেন, জীবনটা আপনার, তাই কখনো ঝুঁকি নেবেন না।
২. গরম পানীয় পান করুন: মনে করতে পারেন, ঠাণ্ডা লাগলে কেন গরম পানী খাবেন? এর উত্তরটি আসলে অনেক সহজ। যখন আপনি গরম পানি খান তখন তা শরীরের ভেতরে ঢুকে শরীরকে গরম করে যা ঠাণ্ডা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া আপনি চাইলে চা পান করতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি হারবাল চা খান। হারবাল চায়ের কিছু গুণাগুণ আছে যা আমদের শরীরের জন্য অনেক কার্যকর। তাছাড়া লেবু শরবত, মধুও ঠাণ্ডার জন্য উপকারী।
৩. বেশি করে ঘুমান: আপনি যদি মোটা হয়ে থাকেন তাহলে ঘুমই সবচাইতে কার্যকর ওষুধ। কারণ যারা মোটা তাদের শরীরে অনেক চর্বি থাকে তাই তার ঠাণ্ডার বিপক্ষে মোকাবেলা করতে গেলে তার শরীরের অনেক বেশি শক্তি ক্ষয় হবে। এটি যারা মোটা শুধু যে তাদের জন্য কার্যকরি না, এটি সবার জন্যই উপকারী। তাই কারোও ঠাণ্ডা লাগলে কমপক্ষে এক থেকে দুই দিন বিছানায় বিশ্রাম নিন। এতে করে শরীর দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।
৪. গরম বাষ্প নিন: ঠাণ্ডা লাগার সময় সবচেয়ে অস্বস্তিকর লাগে তা হলো নাক দিয়ে পানি পড়া। এর জন্য সবচেয়ে ভালো সমাধান হলো একটি বালতি নিয়ে তার মধ্যে গরম পানি ঢালুন। এরপর শরীরে গামছা পেচিয়ে আস্তে আস্তে শ্বাস নিন দেখবেন ঠাণ্ডা অনেকটা কেটে গেছে। মনে রাখবেন বালতির বেশি ভেতরে ঢুকবেন না, এর ফলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
৫. স্বাস্থ্যকর খাবার খান: স্বাস্থ্যকর খাবার শরীরের যেকোনো রোগ প্রতিরোধ করার জন্য অত্যন্ত উপকারী। আর যখন আপনি অসুস্থ থাকবেন তখন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াটি আর জরুরি হয়ে পড়ে। যদিও আপনার হয়তো খেতে মন চাবে না কিন্তু আপনাকে জোর করে খেতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি বেশি করে শর্করা জাতীয়ও খাবার খান। যেমন- ভাত, নুডলস ইত্যাদি।
৬. যে সব খাবার বর্জনীয়: যখন ঠাণ্ডা লাগে তখন পারতপক্ষে দুগ্ধজাতীয় খাবার বাদ দেয়ার চেষ্টা করুন। কারণ, সেটি তেমন কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে না। এছাড়া কোকো জাতীয় খাবারও বাদ দিন।
৭. হালকা ব্যায়াম করুন: ব্যায়াম করা বলতে আপনাকে জিমে কিংবা দৌড়ানোর কথা বলছি না। আপনি কিছু সময়ের জন্য ধ্যান করুন দেখবেন কতটা সতেজ অনুভব করেন। হালকা ব্যায়াম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এর ফলে আপনি আরও তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
৮. বই পড়ুন: ঘুমানর আগে কিংবা যখন শুয়ে থাকবেন তখন যেকোনো একটা বই পড়ুন। এতে করে আপনার মনোযোগ বইয়ের দিকে চলে যাবে এবং আপনি তখন ঠাণ্ডার কষ্টটা অনুভব করতে পারবেন না।
উপরের টিপসগুলো মেনে চললে আপনি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন ও পরবর্তীতে আপনার ঠাণ্ডা লাগার সম্ভবনাও কমে যাবে।