বিজেপি’র হয়ে কাজ করার অপরাধে গণধর্ষণের শিকার ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেত্রী৷ সোমবার রাতে প্রায় ২৪ জন মিলে গণধর্ষণ করে তাঁকে৷
রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা উগ্রবাদী সংগঠন জেএলটির সদস্য বলে জোর করে ওই নেত্রীর বাড়িতে ঢোকে৷ তারপর তাঁকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ৷ শুধু তাই নয়, ওই নেত্রীর ১৩ বছরের নাবালিকা মেয়ের সঙ্গেও দুষ্কৃতীরা অশালীন আচরণ করে বলে জানা গিয়েছে৷ মঙ্গলবার এই ঘটনা জানাজানি হতেই আলোড়িত রাজ্য রাজনীতি৷
ওই মহিলার অভিযোগ, বিজেপি’র হয়ে কাজ করার অপরাধেই ধর্ষণ করা হয় তাঁকে৷ মুসলিম সম্প্রদায়ের বছর ৩০-এর ওই নেত্রী বিজেপি’র সংখ্যালঘু শাখার সদস্য৷ মুসলিম ভোট ইভিএম বন্দী করার জন্য দিনরাত কাজ করছিলেন তিনি৷ এদিন তাঁর অভিযোগে এই বিজেপি নেত্রী বলেন, ‘দুষ্কৃতীরা তাঁর বাড়িতে ঢুকে তাঁর স্বামীর হাত বেঁধে দেয়৷ মারধর করা হয় তাঁর ১৩ বছরের মেয়েকেও৷ তার পর স্বামীর সামনেই গণধর্ষণ করা হয় তাঁকে৷’ ভোটের আগে এই ঘটনা রাজনৈতিক মহলে রীতিমতো সাড়া ফেলেছে৷ ঝাড়খণ্ড পুলিশের এক আধিকারিক অনুরাগ গুপ্তা বলেন, ‘বিভিন্ন সম্ভাবনা মাথায় রেখে তদন্ত শুরু হয়েছে৷ তবে এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা, তা এখনই বলা সম্ভব নয়৷’