ময়মনসিংহের ভালুকায় অপহরণের সাত ঘণ্টা পর কৌশলে ফিরে এসেছে এক স্কুলছাত্র। অপহৃতের নাম জাহিদ রায়হান উদয় (১৬)। সে রাজধানী উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র। তার বাবা জহির রায়হান ঔষধ ব্যবসায়ী।
অপহৃত উদয়ের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে ভালুকা পৌরসদরের এক নম্বর ওয়ার্ড হাসপাতাল মোড় বাসার সামনের রাস্তা থেকে উদয়কে ৪/৫ জনের একটি অপহরণকারীদল সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে কৌশলে গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকা থেকে ভোর রাতে সে বাড়িতে ফিরে আসে।
উদয় জানায়, ভালুকা বাজারে যাওয়ার জন্য রাত সাড়ে ১০টার সময় বাসা থেকে বের হয় সে। কিছুদূর যাওয়ার পর পিছন থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাস তার সামনে এসে দাঁড়ায়। এসময় ৪/৫ জন লোক মাইক্রোবাস থেকে নেমে তাকে জোর করে গাড়িতে তুলে কিলঘুষি মেরে চুপচাপ থাকার জন্য ধমক দিয়ে সিটের নিচে শুইয়ে রাখে। পরে তার গায়ের উপর সন্ত্রাসীরা পা রেখে গাড়িটি দ্রুতগতিতে ঢাকার পথে নিয়ে যায়। রাত আড়াইটার সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়েকে গাজীপুরের শ্রীপর এলাকার অজ্ঞাত স্থানে গাড়িটি থামিয়ে দু’জন অপহরণকারী গাড়ি থেকে নেমে যায় এবং অপর দু’জন ঘুমিয়েছিল। এসময় সুযোগ বুঝে সে কৌশলে গাড়ি থেকে নেমে দৌঁড়ে ধান ক্ষেতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। অপহরণকারীরা অনেক খোঁজাখুজি করে তাকে না পেয়ে গাড়ি নিয়ে চলে যায়। পরে সে মহাসড়কে উঠে কিছুদুর এগিয়ে আসার পর রাস্তায় টহলরত এক পুলিশ সদস্যকে এ জায়গার নাম জিজ্ঞাস করলে এলাকার নাম শ্রীপুরের মাওনা বলে জানান তিনি। পরে একটি ট্রাকে উঠে ভোর রাতে ভালুকার বাসায় ফিরে আসে সে।
হাসপাতাল মোড় এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি জানান, ঘটনার দিন সাদা রংয়ের একটি মাইক্রোবাস এ এলকায় বেশ কয়েকবার এলোপাতাড়ি ঘুরাঘুরি করতে দেখা গেছে। তারপর রাতেই এ ঘটনা ঘটে।
উদয়ের বাবা জহির রায়হান জানান, আমার ছেলের নিরাপত্তার জন্য ঢাকার মাইনস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে তার মা লিজা আক্তারকে সাথে রেখে লেখাপড়া করাচ্ছিলাম। সদ্য সমাপ্ত এসএসসি পরীক্ষা শেষ হলে উদয় বাসায় এসে অপহরণের শিকার হয়। বাসার সামনে থেকে ছেলেকে অপহরণের ঘটনায় এখন আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি।
ভালুকা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুজ্জামান জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে লিখিতভাবে থানায় জানানো হয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।