যে কোনো পরিস্থিতিতেই সরকারকে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে- উল্লেখ করে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘যে নদীতে ঢেউ নেই, সে নদীতে চলাচলে মজা নেই।’
মন্ত্রী রোববার সকালে সিরাজগঞ্জ সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কাছে দেশের জনগণের এ মুহূর্তে প্রত্যাশা অনেক। কিন্তু জনগণকেও বাস্তবের সঙ্গে মিল রেখে প্রত্যাশা রাখতে হবে। তবে, আগামী বর্ষাকালে সওজ’র কোনো সড়কই যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী থাকবে না। চলতি শুস্ক মৌসুমেই সেগুলো মেরামত করা হবে।’
যোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘নতুন রাস্তাঘাট তৈরির কথাও আপাতত ভাবা হচ্ছে না। এ মুহূর্তে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট সংস্কারের কথাই শুধু ভাবা হচ্ছে’।
মত বিনিময় অনুষ্ঠানে সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর) আসনের সাংসদ প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়, সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনের সাংসদ শফিকুল ইসলাম শফি, জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কেএম হেসেন আলী হাসান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু ইউসুফ সূর্য, জেলা যুবলীগ সভাপতি মইনুদ্দিন খান চিনু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সওজ’র বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজের অনিয়মের তদারকির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, কাজের গরু কেতাবে আছে, গোয়ালে নেই। সওজ’রর চলমান ঠিকাদারি কাজের মনিটরিং করতে আমি কোনো টাস্কফোর্স গঠনে বিশ্বাসী নই। আমি নিজেই মাঠে নেমেছি সেগুলো বাস্তবে মনিটরিং করার জন্য’।
যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে অবৈধ নসিমন, করিম ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে ওই সব যানবাহন চলচালের জন্য ফিডার রাস্তার ব্যবস্থা করা হবে। বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ে দুর্ঘটনা রোধে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৩৪ কি.মি. মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হবে’।