বঙ্গোপসাগরে পাওয়া গেল নিখোঁজ বিমান!

বঙ্গোপসাগরে পাওয়া গেল নিখোঁজ বিমান!

mh370-search-311x186অস্ট্রেলিয়ার অনুসন্ধানকারী একটি প্রতিষ্ঠান দাবি করেছে, তারা মালয়েশিয়ান নিখোঁজ বিমানের ধ্বংসাবশেষ পেয়েছে৷

প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ভারত মহাসাগরে যেখানে এমএইচ ৩৭০ তল্লাশি অভিযান চলছে, সেখান থেকে পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরে তারা ওই ধ্বংসাবশেষ পেয়েছে৷

মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার জনপ্রিয় সংবাদপত্র দ্যা স্টার এই খবর প্রকাশ করেছে। তবে এখন পর্যন্ত এ নিয়ে বিস্তারিত কিংবা অস্ট্রেলিয়ার সরকার থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসেনি। এনডিটিভি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

গত ১০ই মার্চ থেকে নিখোঁজ বোয়িং-৭৭৭ বিমানটি উদ্ধারে কার্যক্রম শুরু করেছিলঅস্ট্রেলিয়া নৌবাহিনীর অ্যাডিলেইডভিত্তিক অনুসন্ধানকারী প্রতিষ্ঠান জিওরেজন্যান্স। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, এ সময় তারা সম্ভাব্য ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।

জিওরেজন্যান্সের এক মুখপাত্র পাভেল কুরসা এক বিবৃতিতে বলেছেন, “বঙ্গোপসাগরে আমরা বোয়িং ৭৭৭ বিমানের রাসায়নিক উপাদান ও বেশ কয়েকটি বস্তু শনাক্ত করেছি। “

তিনি বলেন, এ বস্তুগুলো হচ্ছে অ্যালুমিনিয়াম, টাইটেনিয়াম, কপার, স্টিল অ্যালয় ও অন্যান্য বস্তু।

প্রতিষ্ঠানটির আরেক মুখপাত্র ডেভিড পোপ জানান, জিওরেজন্যান্স ২০ লাখ বর্গকিলোমিটার এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়েছে। বিভিন্ন স্যাটেলাইট ও বিমান থেকে পাওয়া ছবি বিশ্লেষণে প্রতিষ্ঠনটির বিজ্ঞানীরা ২০টিরও বেশি প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন। এর মধ্যে তারা একটি পারমাণবিক চুল্লিও ব্যবহার করেছেন।

তিনি দাবি করেছেন, তাদের প্রতিষ্ঠানে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, তা মূলত ওয়ারহেড ও সাবমেরিন শনাক্তের কাজে ব্যবহৃত হয়।

পোপ বলেছেন, “বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার ৩ দিন আগের অর্থাৎ গত ৫ই মার্চ পাওয়া ছবিগুলোর সঙ্গে নতুন ছবিগুলোর তুলনামূলক বিশ্লেষণ করেছেন তারা।”

গত ৮ মার্চ মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ ৩৭০ বিমানটি ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে কুলয়ালালামপুর থেকে বেইজিংয়ের উদ্দেশে যাত্রা করে।

কিন্তু ঘণ্টাখানিকের মধ্যেই বিমানটি রহস্যজনকভাবে হারিয়ে যায়।

আন্তর্জাতিক শীর্ষ খবর