আগামী ১৫ মে থেকে ভোটার তালিকার হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ২০১৫ সালে যাদের বয়স ১৮ বছর হবে তাদেরকে এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
সোমবার বিকালে ইসি সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, তিনধাপে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ করা হবে।
এবার ভোটার সংখ্যা কম হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের আগের যেসব প্রয়োজনীয় উপকরণ রয়েছে তা দিয়ে কাজ শুরু হবে। প্রচারণার মাধ্যমে আমরা বিষয়টি সবাইকে জানাব। যাতে সবাই ভোটার হওয়ার সুযোগ নিতে পারে। মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তালিকা হালনাগাদের কাজ চলবে।
সোমবারের কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় জানিয়ে তিনি বলেন, আমার দেশের নতুন ভোটার ও নারীদের সচেতন করতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাই। যেভাবে আগে পেয়েছি। এ ছাড়া যারা প্রবাসী তারা যাতে ভোটার হতে পারেন সেভাবে আমরা পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি।
বরিশাল-৫ উপনির্বাচন নিয়ে আগামী ২৯ মে আইন শৃংখলা-বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক হবে বলে তিনি জানান। এছাড়া অন্যান্য নিয়মাবলী সংসদ নির্বাচনের মত হবে।
দ্বৈত ভোটারের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে ভোটার তালিকা করছি।
কেউ যদি দ্বৈত ভোটার হতে চান তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, কেউ দ্বৈত ভোটার হলে আমাদের আইডেনটিফিকেশন সিস্টেমে তা ধরা পড়বে। এটা আইন অনুযায়ী অপরাধ। ধরা পড়লে জেল অথবা জরিমানা হতে পারে।
ভোটার করার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে ও কার্ড হয়ে গেলে বাড়িতে গিয়ে বিলি করা হবে। এছাড়া যারা মিস করবেন তাদেরকে রেজিস্ট্রেশন সেন্টারে এসে ফরম পূরণ করতে হবে।
কক্সবাজারে ভোটার করার ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি করা হবে বলে তিনি জানান।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কঙবাজার যেহেতু রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা সেহেতু সেখানে ভোটার হতে হলে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কাছে বাংলাদেশি নাগরিক হওয়ার যথাযথ প্রমাণ দাখিল করেই ভোটার হতে পারবেন।
স্মার্টকার্ড প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, জাতিসংঘের একটি শর্তের কারণে প্রকল্পটি চালু হয়নি। আমরা অধিকাংশ শর্তপূরণ করেছি। তবে আমরা চাচ্ছি ভাল মানের একটি কার্ড করতে তাই একটু সময় লাগবে।