মেক্সিকোর কারা সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪

মেক্সিকোর কারা সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪

মেক্সিকোতে রোববারের কারা সহিংসতায় ৪৪ জন নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলীয় শিল্প শহর মনতেরির একটি কারাগারে রোববার দিনের শুরুতে দু’টি প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাংয়ের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

এসময় কয়েদিরা পরস্পরের ওপর ছুরি, পাথর এবং রড নিয়ে নিয়ে একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বলে জানায় সংবাদমাধ্যম। পরে কয়েদিরা তাদের বিছানায় আগুন জ্বালিয়ে দিলে কারাগারে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।

তবে এ ঘটনার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি বলে জানিয়েছেন মেক্সিকোর নুয়েভে লিওন রাজ্য কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র পাবলো গোমেজ। তবে কর্তৃপক্ষ ঘটনার কারণ বের করতে তদন্ত করছে বলে জানান তিনি।

জর্জ ডোমেনি নামের একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা জানান, কারাগারটিতে প্রায় ৩ হাজার বন্দী আটক ছিল। যদিও এর ধারণ ক্ষমতা ১ হাজার ৫০০ জন।

মনতেরি কারাগারটি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস সীমান্ত থেকে ২২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। গালফ কার্টেল এবং জেতাস কার্টেল নামের মেক্সিকোর দু’টি কুখ্যাত অপরাধীচক্রের সদস্যদের এই কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী এই দু’টি অপরাধীচক্রের মধ্যেই সংঘর্ষ শুরু হয়।

শক্তিশালী মাদক চক্রগুলো মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তের লোভনীয় মাদকপাচার রুটগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। কারাগারে আটক এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের সদস্যদের মধ্যে মাঝে মাঝেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এর আগেও জানুয়ারি মাসে মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলীয় অপর এক কারাগারে প্রতিদ্বন্দ্বী এই দু’টি গ্যাংয়ের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ৩১ জন নিহত ও ১৩ জন আহত হয়।

মেক্সিকোতে গত ৫ বছরে মাদক সংক্রান্ত সহিংসতায় প্রায় ৫০ হাজার লোক নিহত হয়েছে। মাদকচক্রের বিরুদ্ধে মেক্সিকোর বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফিলিপ ক্যালদেরন দমনাভিযান শুরু করার পর থেকেই দেশটিতে সহিংসতায় মারা যাওয়ার হার বেড়ে গেছে।

মেক্সিকোর দুর্বল কারা কাঠামো ও ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দী রাখা এবং ব্যাপক দুর্নীতির কারণে প্রায়ই কারাগারগুলোতে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়।

আন্তর্জাতিক