শিবিরের গোপন বৈঠকে হানা দিলে পুলিশের সাথে শিবির নেতা-কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আমিনুর রহমান (৩০) নামে এক শিবির নেতা নিহত হন। এ ঘটনায় শিবিরের আরও ৭ নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ ও পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি পিস্তল উদ্ধার করেছে।
রবিবার বিকাল ৪টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর গোরস্থান সংলগ্ন মুকুলের বাড়িতে শিবিরের গোপন বৈঠকে হানা দিলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত আমিনুর রহমান সাতক্ষীরা শহর শিবিরের সাধারণ সম্পাদক ও কালিগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মফিজ সরদারের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি ইনামুল হক গণমাধ্যমকে জানান, রবিবার বিকালে কামালনগরের মুকুলের বাড়িতে শিবিরের গোপন বৈঠক হচ্ছে- এমন সংবাদে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় শিবিরের নেতা-কর্মীরা পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ২০/২৫টি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় এবং শতাধিক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি করলে শিবিরের ৭/৮ জন নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শিবির নেতা আমিনুর রহমান মারা যায়।
এ ঘটনায় শিবির নেতা-কর্মীদের ছোড়া বোমা বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণে কনস্টেবল আব্দুর রহমান, কনস্টেবল নুরুল ইসলাম, কনস্টেবল জাহাঙ্গীর হোসেন ও কনস্টেবল জিল্লর রহমান আহত হয় বলে দাবি করেন ওসি।
এদিকে জেলা জামায়াতের প্রাচার সম্পাদক আজিজুর রহমান জানান, তারা কয়েক মাস ধরে মেসে থেকে পড়াশুনা করে। তারা প্রতিদিনের ন্যায় রবিবার দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে ছিল। হঠাৎ পুলিশ যেয়ে তাদের ধরে চোখ বেঁধে পায়ে গুলি করে এবং আমিনুরকে বুকে গুলি করলে ঘটনাস্থলে সে নিহত হয়।