মিসরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণের তারিখ ঘোষণা নিয়ে আবারও অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। সাবেক একনায়ক হোসনি মোবারকের পতনের পর দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। তবে মে মাসের মধ্যেই নির্বাচন সংক্রান্ত সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নির্বাচন কমিশনের প্রধান বলেন, প্রবাসী ভোটারদের ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতেই বিলম্ব হচ্ছে। তবে দিনক্ষণ ঠিক না হলেও নির্বাচনে প্রার্থিতা দাখিলের পূর্বঘোষিত শেষ সময়সীমা ১০ মার্চ অপরিবর্তিত থাকবে বলে তিনি ঘোষণা করেন। নির্বাচনের চূড়ান্ত দিন-তারিখ এরপর ঘোষণা করা হবে বলে তিনি আশা করেন।
এর আগে মিসরের নির্বাচন কমিশনের অপর এক সদস্য আহমেদ শামস বলেছিলেন, ভোটগ্রহণ জুনের ১ তারিখে শুরু হয়ে জুনের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে।
রাজপথে ১৮ দিন স্থায়ী ঐতিহাসিক গণআন্দোলনের মুখে দেশটির সাবেক একনায়ক হোসনি মোবারক ২০১১’র ১১ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সামরিক পরিষদ দেশটির শাসন ক্ষমতায়।
বেসামরিক কর্তৃপক্ষের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাদের ওপর জনগণের চাপ ক্রমাগত বাড়ছে। ইতোমধ্যেই আন্দোলনকারীরা সামরিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
বিক্ষোভের মুখে অন্তর্বর্তীকালীন সামরিক পরিষদ ঘোষণা দেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর তারা বেসামরিক কর্তৃপক্ষের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়ে সরে যাবে। কিন্তু নির্বাচন অনুষ্ঠানে গরিমসিতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে দেশটির গণতন্ত্রকামী আন্দোলনকারীরা আশঙ্কা প্রকাশ করছে সামরিক পরিষদ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
তবে দেশটিতে ইতোমধ্যেই একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ইসলামপন্থি দলগুলো নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।