শেরেবাংলা ফজলুল হকের ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী

শেরেবাংলা ফজলুল হকের ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী

ak fazlul haqueরবিবার ২৭ এপ্রিল জাতীয় নেতা শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী। দেশের প্রয়াত এ নেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাণীতে বলেছেন, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা আগামী প্রজন্মের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।

তিনি বলেন, এ দেশের কৃষক শ্রমিক তথা মেহনতি মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে এ কে ফজলুল হকের অবদান জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।

অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফজলুল হক এ অঞ্চলের মানুষের শিক্ষা, রাজনীতি, সমাজ সংস্কার ইত্যাদি ক্ষেত্রে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন উল্লেখ করে মো. আবদুল হামিদ বলেন, বাংলার শোষিত ও নির্যাতিত কৃষক সমাজকে ঋণের বেড়াজাল থেকে মুক্তির লক্ষ্যে শেরেবাংলার গঠিত ‘ঋণ সালিশী বোর্ড’ আজও প্রশংসিত।

তার উদ্যোগে বঙ্গীয় চাকরি নিয়োগবিধি, প্রজাস্বত্ব আইন, মহাজনী আইন, দোকান কর্মচারী আইন পাস হয়। ফলে এ অঞ্চলের অবহেলিত কৃষক-শ্রমিক উপকৃত হন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, এ দেশের কৃষকদের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন।

বাংলার কৃষক ও মেহনতি জনতার অকৃত্রিম বন্ধু শেরেবাংলা আবুল কাশেম ফজলুর হকের ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে শেখ হাসিনা বলেন, তার (ফজলুল হক) নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আন্দোলনের ফলেই দেশে প্রজাস্বত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। বাঙালি কৃষক সমাজ সামন্তবাদের শোষণ থেকে মুক্ত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলার গরীব-দুঃখী মানুষের জন্য এ কে ফজলুল হকের অসীম মমত্ববোধ এ দেশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষে আমৃত্যু সোচ্চার ছিলেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকার জন্য তিনি ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।

খালেদা জিয়া বলেন, তার আপোষহীন সংগ্রামে ঋণ সালিশী বোর্ড গঠনের মাধ্যমে এদেশের কৃষককুলকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে উদ্ধার করেছিলেন তিনি। প্রজাস্বত্ত্ব আইন প্রণয়নের মাধ্যমে তিনি ভূমির উপর এদেশের কৃষক সমাজের অধিকার আদায়ে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করেছিলেন। আমি তার অমলিন স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় ইতিহাসে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন এক অনন্য প্রতিভার অধিকারী। স্বাধীনতার চেতনা ও গণতান্ত্রিকবোধ সৃষ্টিতে তার অসামান্য অবদানের কথা এদেশের মানুষ চিরকাল স্মরণ রাখবে। দেশ ও জাতির কল্যাণে তার অসামান্য অবদানের জন্য ইতিহাসের পাতায় তার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আমি এ মহান নেতার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর