সরকার ও গার্মেন্টসের মালিক পক্ষের মধ্যে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
তিনি বলেন, “রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্ত অনেক পরিবারের মধ্যেই ক্ষতিপূরণের টাকা সঠিকভাবে বণ্টন করা হয়নি এবং তাদের ঠিকমতো পুনর্বাসন করা হয়নি। এমনকি বিদেশীদের দেয়া টাকাও সমভাবে বণ্টন করা হয়নি।”
শনিবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলের ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইনঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত চলমান রাজনীতি বিষয়ক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুরঞ্জিত এসব কথা বলেন।
সুরঞ্জিত বলেন, “গার্মেন্টস শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় ট্রেড ইউয়িন গঠনের অধিকার বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।”
এ সময় শ্রমমন্ত্রীকে সভাপতি করে একটি আর্ন্তজাতিক মনিটরিং সেল গঠন করারও প্রস্তাব দেন তিনি।
তিস্তা প্রসঙ্গে সুরঞ্জিত বলেন, “বিএনপির লংমার্চের সময় হঠাৎ করেই তিন হাজার কিউসেক পানি চলে আসায় রহস্য তৈরি হয়েছে। এর মাধ্যমেই বোঝা যায় যে বিএনপি তিস্তা চুক্তি চায় না।”
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “রাজনীতিতে স্টান্টবাজি, বালখিল্য ও কূটকৌশল না করে মূলধারায় ফিরে আসুন। তিস্তা অভিমুখে লংমার্চ দেশের জন্য কিছুই করতে পারেনি। আপনাদের উদ্দেশ্যও সফল হয়নি। দলকে আপনারা উজ্জীবিত এবং জনগণকে সম্পৃক্ত করতেও পারেননি।”
তিনি আরো বলেন, “আপনারা লংমার্চের নামে গাড়ি মার্চ করলেন। তবে দেশের স্বার্থে রাজনীতির নামে অপরাধের রাজনীতি মানুষ আর মেনে নেবে না।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ কখনোই দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে কোনো চুক্তি করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না।”
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ঢাকা মহানগর সভাপতি চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সেলিম, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান দুর্জয়, সাম্যবাদী দলের ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক হারুন চৌধুরী প্রমুখ।