আসন্ন রমজানে খোলাবাজারে খেজুরের দাম স্বাভাবিক রাখতে ইরাক ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১৫০ মেট্রিক টন খেজুর আমদানি করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। সিঙ্গাপুর ভিত্তিক একটি কোম্পানির মাধ্যমে এই খেজুর আমদানি করা হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে টিসিবির কাছে এই খেজুর পৌঁছাবে।
রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দর সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে প্রতিবছর খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম পরিচালনা করে টিসিবি। টিসিবির নিজস্ব চারটি বিক্রয় ক্রেন্দ্রসহ রাজধানীর প্রায় ৩৫টি স্থানে ট্রাকে করে এই বিক্রি কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। তাছাড়া বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতেও টিসিবির খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে।
তাই আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্যের মজুদ বাড়াতে তেল, চিনি, ছোলা, খেজুর ও ডাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় টিসিবি। তাতে প্রাথমিকভাবে তিন হাজার টন তেল, দেড় হাজার টন ছোলা, ১৫০ টন খেজুর ও দুই থেকে তিন হাজার টন মসুর ডাল আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছে টিসিবি।
টিসিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা হুমায়ন কবির জানান, রমজান ও তার পরবর্তী সময়ের জন্য প্রথম পর্যায়ে ডাল, তেল, ছোলা ও খেজুরের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে দরপত্র আহ্বান করা হয়। তবে কয়েকবার দরপত্র আহ্বানের পর ডাল, ছোলা ও অন্য পণ্যের আমদানি নিশ্চিত হওয়া গেলেও খেজুরের জন্য চতুর্থবারের মতো দরপত্র আহ্বান করে টিসিবি। সর্বশেষ দরপত্রে কাঙ্খিত মান ও দর পাওয়ার কারণে খেজুর আমদানির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, সময়মতো আমদানি করা খেজুর টিসিবির কাছে পৌঁছালে রমজানে এ পণ্যের ঘাটতি হবে না। ফলে খোলা বাজারে খেজুরের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
হুমায়ন কবির জানান, এবার ইরাক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে খেজুর আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুর ভিত্তিক কোম্পানি ইটিজি এই খেজুর সরবরাহ করছে বলে জানান তিনি।
তিনি জানান, কেনার সময় দুই দেশের দর ও মান বিবেচনায় নেওয়া হবে। যে দেশে কাঙ্খিত দর ও মান পাওয়া যাবে সেখান থেকে বেশি কেনা হবে।