যেখানে প্রধানমন্ত্রী, সেখানে থাকা ফরজ বলে মন্তব্য করেছেন রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক।
রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) কাউন্সিল হলে শুক্রবার দুপুরে এক সেমিনারে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
‘জাতীয় পরিবহন ও গণমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থায় রেলওয়ের গুরুত্ব : বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনারটি আয়োজন করে আইডিইবি।
প্রকৌশলীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সহমর্মিতার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মুজিবুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনাদের এই সংগঠনের সদস্যের মতো। আপনাদের এই ভবনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি। যেখানে প্রধানমন্ত্রী, সেখানে থাকা ফরজ। তাই প্রধানমন্ত্রী যেখানে আন্তরিক সেখানে আমাকে যখনই ডাক দেবেন আমি তখনই সাড়া দেব।
বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়নের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী বলেন, আমরা রেলওয়ের উন্নয়নের জন্য ১৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৪টি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এ প্রকল্পগুলো যদি বাস্তবায়ন করা হয় তাহলে বাংলাদেশ রেলওয়ের সকল সুযোগ-সুবিধা উন্নত দেশের মতো হবে।
কর্ম-পরিবেশে বৈষম্য দূর করা হবে বলে আশ্বাস এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়নের জন্য প্রকৌশলীদের পরামর্শ চান মন্ত্রী।
আগামী দুই বছরের মধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়ন দৃশ্যমান হবে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক তাফাজ্জল হোসেন।
আইডিইবির সভাপতি একেএমএ হামিদ বলেন, কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন নেই। ভারতের রেলওয়ে সফল। তাই সে অনুযায়ী বাংলাদেশ রেলওয়ের পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের প্রকৌশলীদের ভারতে পাঠিয়ে ট্রেনিং না দিয়ে, ভারত থেকে যদি প্রকৌশলী এনে আমাদের প্রকৌশলীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তাহলে ভালো হবে। কারণ কতজন প্রকৌশলী আপনারা ভারতে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠাবেন।
সেমিনারে লিখিত পেপার উপস্থাপন করেন আইডিইবির উপ-পরিচালক (শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিভাগ) মো. ইয়াকুব হোসেন সিকদার।