সাতক্ষীরায় এক জামায়াতে নেতাকে আটকের পর পুলিশ পায়ে গুলি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত জামায়াত নেতা কবীর আহম্মেদ (৪৭) সাতক্ষীরা সদর হাসপাতলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলার বাঁকড়া গ্রামের জামালদ্দীনের ছেলে।
আহত কবীরের ভাই মিজানুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১০টায় বাড়ীর কাজে সাতক্ষীরাতে যান। কাজ শেষে বাড়ী ফেরার সময় শহরের পোস্ট অফিস মোড় থেকে ডিবি পরিচয়ে পুলিশ তাকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে বিকাল সাড়ে তিনটায় আশাশুনি থানায় পাঠায়। রাত দুইটায় আশাশুনি থানার পুলিশ হাত ও চোখ বেঁধে পুলিশ পিকআপে তুলে নিয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার চাঁদপুর এলাকার পাশাপাশি এসে পিকআপ থেকে নামিয়ে ডান পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে। পরে আহত অবস্থায় রাতেই পুলিশ চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ দিকে পুলিশ জানায় আটক কবির আহম্মদের বিরুদ্ধে আশাশুনি থানায় পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরসহ দুটি মামলা রয়েছে । রাতে তকে নিয়ে পুলিশ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গেলে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা তাকে ছিনিয়ে নেয়ার জন্য কয়েটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় এতে পায়ে গুলি লেগে তিনি আহত হন। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
তবে আহতের ভাই আলাউদ্দীন অভিযোগ করেন, অস্ত্র উদ্ধারের নামে একটি নাটক সাজিয়ে তার ভাইকে ঠাণ্ডা মাথায় পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে পুলিশ গুলি করেছে।