ফারাক্কা ব্যারেজ প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশ বিরোধী মনোভাব বজায় রেখেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গোটা ইস্যুকে মানুষের তৈরি বিতর্ক ব্যাখ্যা দিয়ে শনিবার প্রধানমন্ত্রীকে ফের চিঠি দেন তিনি। চিঠিতে তার স্পষ্ট অভিযোগ, ফারাক্কা ব্যারেজের পানিতে ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ অনেক বেশি উপকৃত হন। ফারাক্কা ব্যারেজ নিয়ে ওই রিপোর্টে অভিযোগ, স্লুইস গেট খারাপ বলে বাংলাদেশকে অনেক বেশি পানি ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে রাজ্য সরকারের পক্ষে এই চুক্তি মেনে নেওয়া অসম্ভব।
গত বছর ব্যারেজে দু’টি স্লুইস গেট অকেজো হয়ে যায়। ফলে বাংলাদেশ প্রায় ৮২ হাজার কিউসেক পানি পেয়ে যায় গোটা বছরে। অথচ চুক্তি অনুযায়ী তাদের পাওয়ার কথা ৩৫ হাজার কিউসেক পানি। রিপোর্টে আশঙ্কা, এই হারে পানি বেরিয়ে গেলে পানির স্তর এতটা নেমে যাবে যে পশ্চিমবঙ্গে এনটিপিসির জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে। যার ফলে রাজ্য জুড়ে বিদ্যুৎ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিপর্যয় দেখা দেবে।
অন্যদিকে, তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনার জন্য শনিবার রাজ্যে এসেছেন পররাষ্ট্রসচিব সচিব রঞ্জন মাথাই। তিস্তার উদ্ভুত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই ওই বৈঠক বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। বৈঠকে মমতাকে বোঝানোর সব রকম চেষ্টা করেন প্রধানমন্ত্রীর দূত মাথাই। দিল্লির প্রধান যুক্তি, বর্তমানে বাংলাদেশের যা রাজনৈতিক অবস্থা, তাতে এই চুক্তি সম্পাদন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এখনও তার বক্তব্যে অনড়। এর ফলে তিস্তা পানি চুক্তি ঘোর অনিশ্চয়তায় পড়তে চলেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
অন্যদিকে, এনএসজি হাব নিয়ে প্রতিশ্রুতি পালন করল কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার বাদুতে এনএসজি হাবের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পালানিয়াপ্পন চিদাম্বরম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী মুকুল রায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।