পোশাক কারখানা তৈরিতে মালিকদের সতর্ক করলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। কারখানা তৈরির সময় সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
একইসঙ্গে পোশাক শিল্পকে এগিয়ে নিতে বিনাশুল্কে কারখানার যন্ত্রাংশ আমদানির সুযোগ দেয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বিজিএমইএ ভবনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
গত বছর সাভারে রানা প্লাজায় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের দোয়া ও স্মরণসভার আয়োজন করে পোশাক প্রস্তুতকারী ও রফতাfনিকারকদের সংগঠন-বিজিএমইএ, নিট পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি-বিকেএমইএ এবং টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশন-বিটিএমইএ।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, “পোশাক কারখানা মালিকদের এখন থেকে সতর্ক হতে হবে, যাতে কারখানায় সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা সঠিকভাবে হয়। রানা প্লাজা ধসের মতো ঘটনা যেন আর না ঘটে।”
তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পর রানা প্লাজার মতো বড় দুর্ঘটনা আর ঘটেনি। এ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের পোশাক শিল্প ধ্বংস করতে দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।”
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে বিশ্বে রফতানিকারক দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। আমাদের প্রথম অবস্থান অর্জন করতে হবে। বিনা শুল্কে তৈরি পোশাক কারখানার যন্ত্রাংশ আমদানির সুযোগ দেয়া হবে।”
সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “ভুল-ভ্রান্তি আমাদের আছে। কেউই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। তবুও এমনভাবে সংবাদ পরিবেশন করুন যাতে বিদেশে আমাদের সুনাম ক্ষুণ্ন না হয়।”
সকালে বিজিএমইএ ভবনের সামনে নিহত শ্রমিকদের স্মরণে শোকর্যালি হয়। দুপুরে ভবনে শ্রমিকদের জন্য দোয়া মাহফিল হয়। এতে মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু এমপি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি প্রমুখ। এছাড়া নিহত শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের স্বজনরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধ্বসেএক হাজার ১৩৫ শ্রমিক নিহত হন। দুই হাজার ৪৩৮ জনকে সেখান থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। দিনটি স্মরণে দেশের সব পোশাক কারখানায় কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।