শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বাস্তবায়নাধীন অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়্যান্স (এপিআই) শিল্পপার্ক বা ওষুধ শিল্পপার্কের সীমানাপ্রাচীর, ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণের জন্য দরপত্র আহবান এবং সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রকল্প এলাকায় ভরাটকৃত মাটির ড্রেসিং ও প্লটিং এর কাজ সমাপ্ত করতে প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, সরকারের অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত এ প্রকল্প দ্রুত সম্পন্ন করে ওষুধ শিল্প মালিকদের মধ্যে প্লট বরাদ্দ দেয়া হবে।
বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির নেতাদের সাথে বৈঠককালে শিল্পমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। আজ শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে শিল্পসচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি সালমান এফ. রহমান, মহাসচিব আব্দুল মুক্তাদির, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডাঃ হাবিবে মিল্লাত এম.পি ও মোসাদ্দেক হাসান, বিসিক চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং প্রকল্প পরিচালক মো. আবুল বাসেতসহ শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিসিকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সমিতির নেতারা প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার তাগিদ দেন। তারা বলেন, প্রকল্প দলিল অনুযায়ী ভূমি উন্নয়নসহ অন্যান্য কাজ সম্পন্ন হলে ওষুধ শিল্প উদ্যোক্তারা বরাদ্দকৃত প্লটের বিপরীতে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করবে।
তারা জানান, শিল্পনগরী পরিবেশ সুরক্ষায় উদ্যোক্তারা নিজেদের অর্থায়নে ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) নির্মাণ করবে। তারা প্রকল্প এলাকায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়ে আগাম উদ্যোগ নিতে শিল্পমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ একথা বলা হয়।
উল্লেখ্য, প্রকল্প এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। ভূমি উন্নয়নের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের জন্য পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র পাওয়া গেছে। ড্রেন, রাস্তা ও সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ শেষ হলে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি উদ্বোধন করা হবে।