গত ২৯/০১/২০১৪ তারিখ জনকন্ঠ সংখ্যায় শ্রদ্ধেয় লেখক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী “তারেক রহমান সুস্থ্য হবেন কবে” শিরোনামে লেখায় অজানা তথ্য পরিবেশন করেছেন। সেখানে খালেদা জিয়ার জেষ্ঠ্যপুত্র তারেকের অপকর্মের, দুস্কর্মের ও বখাটেপনার চিত্র উঠে এসেছে। দেশের অনেকেই হয়তো জানেনা এই খালেদা পুত্র কিশোর বয়সেই রসাতলে গেছে। এই বখাটে তার কুকর্মের জন্য শাহীন স্কুল হতে বহিস্কৃত হয়েছিল। জনাব চৌধুরী অপ্রত্যাশিত ভাবে এহেন ঘটনা জেনে তার লেখায় এই কাহিনী তুলে ধরেছেন। সেদিন সকালে প্রাত:ভ্রমন শেষে আড্ডায় বসে এসব নিয়েই আলাপ হচ্ছিল। এক ভদ্রলোক জানালেন, এদেশে নকলের প্রধান উদ্যোক্তা হলেন এই তারেক রহমান। সে নাকি ঢাকার বাইরে গিয়ে সম্ভবত মানিকগঞ্জে গিয়ে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। এই ব্যবস্থা অবশ্যই নকলের সুবিধার জন্যই মনে হচ্ছে। খালেদা জিয়া ও স্কুলে একই রকম ডাব্বা মেরেছেন। ম্যাডাম নাকি স্কুলে পড়ার সময় নায়িকা হওয়ার জন্য বোম্বে পালাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ধরা পড়ে পালাতে পারেননি। যেতে পারলে হয়তো এদেশের মানুষ তাকে একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে পেতেন না। তিনি নাকি ভাল নাচতেও পারতেন। এহেন শিল্পকলা অবশ্যই প্রসংশনীয়।
শ্রদ্ধেয় গাফ্ফার চৌধুরী বহু বছর আগে পূর্ব পরিচয়ের প্রেক্ষিতে কোন তথ্য সংগ্রহের জন্য জিয়াউর রহমানের বাসায় গিয়েছিলেন। গিয়ে যে দৃশ্য দেখলেন তাতে তিনি বিচলিত হলেন। কারণ জানতে চাইলে ছেলেকে বেত্রাঘাত করা থামালেন এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের একটি চিঠি দেখিয়ে বলেছিলেন “এই ছেলে নিজেতো বখাটে তার উপর আরেক বখাটে তার মামা ইস্কান্দারের পাল্লায় পড়ে একবারে নষ্ট হয়েছে।” তাহলে উহা পরিস্কার তার এই গুনধর পুত্র ও ভাই তাকে কত ডুবিয়েছে। অবশ্য ছেলের এই চরিত্র খালেদার মধ্যেও আছে। খালেদা তার কয়েকটি জন্মদিন এই জাতিকে উপহার দিয়েছেন। তার মেট্রিক পরীক্ষার ফলাফল দেখলে লেখাপড়ার মান ধরা পড়ে। রাষ্ট্র পরিচালনায় যত প্রকার দুর্নীতি আছে সবই তার আমলে হয়েছে। তিনি নিজে অপ্রদর্শিত আয়ের জন্য অর্থাৎ অসৎ উপাযে অর্জিত অর্থের জন্য জরিমানা দিয়ে কালো টাকা সাদা করেছেন। তার প্রয়াত মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেন বলেছিলেন তিনি সাদা টাকাই সাদা করেছেন। অর্থনীতির এই সংজ্ঞা কোন গরু গাধাও দেবে বলে মনে হয় না। দেশের অর্থনীতি ও রাজনীতির বারোটা বাজানোর জন্য এরা শতভাগ দায়ী। বিগত ক্ষমতাকালে সৌদি আবর ভ্রমনের সময় ম্যাডাম অগনিত সুটকেস ভর্তি কত সহস্র কোটি অর্থ সম্পদ পাচার করেছেন তা এ দেশের মানুষের অজানাই রয়ে গেল।
লন্ডনে বসে তারেক জিয়া এখন নিত্য নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ক্ষমতা হারিয়ে মা ও ছেলে যেন পাগল হয়ে যাচ্ছে। ষড়যন্ত্রের নানা কৌশলের জন্য বিভিন্ন দেশে নতুন অফিস খুলেছে। এই বখাটে দুর্নীতিবাজ কিছুদিন আগে অত্যন্ত গর্হিত ও অমার্জনীয় বক্তব্য উদগীরণ করেছে। সে বলেছে “৭২ এর সংবিধান জন-আকাঙ্খা বিরোধী সংবিধান।” এহেন বক্তব্য ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের প্রতি, এদেশের স্বধীনতা সার্বভৌমত্ব, ইতিহাস ঐতিহ্যের উপর চরম অবমাননাকর উক্তি। এই বক্তব্য রাষ্ট্র দ্রোহিতার শামিল। কোন বাঙ্গালীর মুখ দিয়ে এহেন উচ্চারণ সম্ভব নয়। তাহলে স্কুল জীবনে শ্রদ্ধেয় গাফ্ফার চৌধুরীর সামনে তাকে জিয়া কর্তৃক বেত্রাঘাত যথার্থই ছিল। এই অর্বাচীন দুর্বৃত্ত এদেশের মূল সংবিধান নিয়ে কটুক্তি করার ধৃষ্ঠতা দেখিয়েছে। এহেন অনাকাঙ্খিত বক্তব্য একজন বেজন্মার মুখ দিয়ে উচ্চারিত হওয়া সম্ভব নয়। তাহলে এই তারেক কি সাংঘাতিক চরিত্র এদেশের মানুষের কাছে উহা স্পষ্ট। মায়ের ক্ষমতাকালে হাওয়া ভবন সৃষ্টি করে এদেশে কি লুট পাট, ধ্বংস ও অরাজকতা সৃষ্টি করেছে দেশবাসীকে তা ভাবতে হবে। এখন সুদূর লন্ডনে বসে নিত্য নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ভিডিও ম্যাসেজে দেশবাসীকে বিপথগামী করার আস্পর্ধা দেখাচ্ছে। এদেশের শতশত কোটি অর্থ সম্পদ পাচার করে, লুট পাট করে নিয়ে গিয়ে বিদেশে সপরিবারে বিলাসবহুল জীবন যাপন করছে। নাহলে বছরের পর বছর সপরিবারে থাকছে কিভাবে? আর এদেশের রাজাকার, আলবদরের বাচ্চারা, জামায়াত শিবির ছাত্রদলের জঙ্গীরা, পাকিস্তানী দালালেরা, লুটেরারা, হেফাজতীরা, সারাদেশে তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে বিগত দুই বছর ধরে। বিশেষ করে নির্চানের কয়েক মাস আগে হতে এরা বেপরোয়া হয়ে গেছে। নির্বাচন বর্জন ও প্রতি হতের ঘোষণা দিয়ে যত প্রকার হত্যা, সন্ত্রাস, অরাজকতা, নাশকতা সবই এসব দুর্বৃত্তরা চালিয়েছে। ৫ জানুয়ারী নির্বাচনের দিন নানা প্রকার প্রতিরোধ, প্রতিহত, হত্যা, সন্ত্রাস ও ভয়ভীতি ইত্যাদি করেও নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। শত প্রতিকুলতার মধ্যেও ৪০% এর বেশি মানুষ ভোট দিয়েছে। সংখ্যালঘুদের উপর চালানো হয়েছে অমানুষিক অত্যাচার। এরা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে হত্যা করেছে, নির্বাচনী কেন্দ্র, স্কুল ইত্যাদি পুড়িয়ে, হিন্দুদের বাড়িঘর পুড়িয়ে ছারখার করেছে। জামাত শিবিরের এই দূর্বৃত্তায়ন খালেদা জিয়ার সমর্থন নিয়েই হয়েছে। না হলে ভোটার উপস্থিতি আরো বেশি হতো। এই অরাজকতা রোধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা অমর্জনীয় অপরাধ। সামগ্রিক সহিংসতার জন্য দায়ীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদান অপরিহার্য্য। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে উন্নয়ন সম্ভব নয়।
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায়ে আসামীদের সর্বোচ্চ সাজা হয়েছে। দেশবাসী এই রায়ে সন্তুষ্ট। কিন্তু আসল আসামী এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তৎকালীন ডিজিএফআই প্রধান সাদিক হাসান রুমী এই ঘটনাটি খালেদা জিয়াকে অবহিত করেছিলেন। কিন্তু কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। শুধু কমিটি করার কথা বলেছিলেন। এতবড় ঘটনায় কোন প্রতিক্রিয়া না দেখানোতে ও নীরব ভূমিকা পালনও রহস্যজনক। নিজামীও বলেছিলেন বিষয়টি সর্বোচ্চ পর্যায়ের গোচরীভূত আছে। মুফতী হান্নানের জবানবন্দিতে হাওয়া ভবন তথা তারেকের এই ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমান মেলে। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর (উই আর লুকিং ফর শত্রুস) ঘটনার এক বছর পর ঘটনাস্থলে চাক্ষুষ স্বাক্ষী পিডব্লিউডি-৯ সার্জেন্ট আলাউদ্দিন পিডব্লিউডি-১০ সার্জেন্ট হেলাল উদ্দিনকে অত্র মামলায় জড়িয়ে তাদেরকে শারিরিক ও মানসিকভাবে অমানুষিক নির্যাতনই খালেদা বাবর-তারেক ও অন্যান্য সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের কুকর্মের বলিষ্ঠ প্রমান। এই ঘটনার আসল হোতাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। তাহলে এ রহস্যের চুড়ান্ত ফয়সালা হবে। জিয়া এতিমখানা ও দাতব্য ট্রাষ্ট মামলায় এদের হাজিরা না দেয়া এবং বছরের পর বছর তারিখ পেছানোতে উহাই স্পষ্ট যে তারা এই দুর্নীতিতে জড়িত। বারবার আদালত এড়ানো সৎ মানুষের কাজ নয়। এই দুর্নীতিও এদের অপরাজনীতিতে আর এক উদাহরণ। তাদের সৎ সাহস থাকলে অবিলম্বে আদালতে হাজির হয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করা প্রয়োজন। এরা যে কত জঘন্য অর্থ পাচার মামলার রায় উহার উদাহরণ। মামুন ও তারেক একই একাউন্ট হতে দুই জনেই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে মামুন শাস্তি পেল, তারেক পেল খালাস; এহেন রায় অনভিপ্রেত। সেই বিচারক প্রভাবান্বিত হয়ে শত কোটি টাকার বিনিময়ে এই অবিশ্বাস্য রায় দিয়ে এখন পলাতক। সে নাকি বিদেশে পালিয়েছে। সরকারকে অবিলম্বে এই রহস্যজনক বিচারককে দেশে এনে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। তখনই সকল রহস্য উন্মোচিত হবে।
আন্তর্জাতিক জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আলকায়েদা প্রধান আয়মন আল জাওয়াহিরি ভিডিও বার্তায় জামাত-শিবির-হেফাজত-বিএনপির ভাষায় তার বক্তব্য ইন্টারনেটে ছেড়েছে। এই শয়তান আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ করে কথা বলেছে। এই নর পিশাচের জিভ টেনে ছিঁড়ে ফেলতে হবে। তাদের ওয়েব সাইট “বাশের কেল্লার” পেজ এডমিন রাশেল বিন সাত্তার গ্রেয়তার হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে আল কায়েদার সাথে জামাত শিবিরের কানেকশন বের হয়ে আসতে শুরু করেছে। আর মীর্জা ফকরুল, রিজভী ইত্যাদিরা রাজাকার চোখা মিয়ার বাচ্চারা আলবদরের বাচ্চারা এর মধ্যে অন্য গন্ধ খুঁজে পাচ্ছে। এদের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি কতটুকু শ্রদ্ধা আছে বোধগম্য নয়। অবিলম্বে সকল অপকর্মের হোতাদের দেশে বিদেশে যেখানেই আছে আইনের আওতায় আনতে হবে। স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও রক্ত দিয়ে কেনা স্বাধীনতাকে নস্যাত করার জন্য এই চরিত্র গুলি দেশে বিদেশে লবিষ্ঠ নিয়োগ করে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এদের বিশেষ করে জামাত শিবিরকে শক্ত হাতে দমন করতে না পারলে বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবেনা। এরা এখনো ৭১ এর পাকিস্তানী চিন্তা চেতনায় আছে। এরা বাংলাদেশের স্বাধীনতায়ই বিশ্বাসী নয়। এদের এদেশে নাগরিকত্ব ও ভোটাধিকার কিছুই থাকতে পারে না। অতএব এইসব পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে সরকারকে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া ফরজ কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতোমধ্যে গত ১৯/০২/২০১৪ দেশের ৯৭ উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইসচেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হয়ে গেল। নির্বাচনের দিন দুপুরের আগে হতেই একাত্তরের রাজাকার, আলবদর দালালদের বাচ্চারা, বিএনপির উঁচু স্তরের নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন চ্যানেলে একে তামাশার নির্বাচন, ভোটকেন্দ্র দখল, জালভোট ও সরকারি তান্ডব ইত্যাদি অভিযোগ এনে কান ঝালাপালা করে ফেলেছে। কয়েক স্থানে হরতালের ডাক দিল। অবশেষে ফল ঘোষণার পর দেখা গেল বিএনপি পেল ৪৩, আওয়ামীলীগ ৩৫, জামাত ১২ ও অন্যান্য ৬ জন। তাহলে কি বুঝা যায়? নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকরাও স্বীকার করেছেন হাসিনা সরকারের অধীনে এই উপজেলা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মোজেনা ৫০ জন পর্যবেক্ষক নিয়ে রাজশাহী সফরে গিয়ে এই নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলেছেন এবং তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। এজন্য অবশ্যই বর্তমান সরকার প্রশংসা পাওয়ার দাবীদার। যে অভিযোগ গুলি বিএনপি নেতারা করেছে সেগুলি নিজেরাই করে চোরের মার বড় গলায় হাকডাক মেরেছে। আওয়ামীলীগ কারচুপি, জ্বালভোট ইত্যাদি করে কম আসনে বিজয়ী হবে কেন? সরকার কারচুপির নির্বাচন করলে তাদেরইতো বেশি আসনে জয়ী হওয়ার কথা। দেশবাসী লক্ষ্য করুন এরা সুক্ষè ও স্থুল কারচুপিতে কত পারদর্শী। তাদের নেতা জিয়াউর রহমান হত্যা ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে কারচুপির নির্বাচনের যে শিক্ষা এ দলকে দিয়ে গেছেন, বর্তমান নেত্রী খালেদা জিয়া তার ছেলে তারেক জিয়া ও এ দলের বিভিন্ন নেতা নেত্রীবৃন্দ এখন এ ব্যাপারে অনেক দক্ষ ও পারদর্শী। রিজভী ও ফখরুলের বক্তব্যে তাই প্রমাণিত হয়েছে। দেশবাসী স্মরণ করুন জিয়াউর রহমানের ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ ভোটের কাহিনী। তারা ঐ দীক্ষায়ই দীক্ষিত। কি করে নিজে চুরি করে অন্যকে চোর বানানো যায় এ গুন তাদের রপ্ত আছে। বিশ্ববাসী এ ব্যাপারে বিএনপি জামাত হতে দীক্ষা নিতে পারেন। খালেদা ও তার ছেলের সামগ্রিক কর্মকান্ড, জীবন কাহিনী পর্যালোচনা করলে বিশ্ববাসী ও দেশবাসী উহাই সম্যক উপলব্ধি করতে পারবেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা জনাব এইচ.টি ইমাম, রিজভী ফকরুলদের অবান্তর কথার জবাবে যথার্থই বলেছেন, “বিএনপির জন্মলগ্ন হতেই একটি লাইং স্পিনিং মিল রয়েছে। সদ্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনে তারা তাই করেছেন। বিএনপির এই লাইং স্পিনিং মিশিনে মিথ্যা কথার জাল বোনা হয়। তাদের অভিযোগ মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়।” বিচিত্র এসব চরিত্র। গত ২৭/০২/২০১৪ ইং দ্বিতীয় দফায় ১১৫ টি উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি ও তাদের মিত্ররা, একাত্তরের সেই চিহ্নিত দালালদের বাচ্চারা একই গোয়েবলসী কায়দায় মিথ্যাচার করে গেল। অথচ এবারও তারাই বেশী সংখ্যক আসনে বিজয়ী হয়েছে। যেসব স্থানে আওয়ামীলীগের ভোটব্যাংক বেশী ও বিজয় নিশ্চিত সেখানেই বিএনপি-জামাত নির্বাচন বর্জন করেছে এবং হরতালের ডাক দিয়েছে। এদের লাইং স্পিনিং মেশিনগুলি এত সক্রিয় যে এবারও একই মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে মিথ্যাচার প্রতিরোধের বুদ্ধি, শক্তি ও রাজনীতি শিখতে হবে। এইসব নানাবিধ কুট ও অসৎ কৌশল হতে রাজনীতিকে সুষ্ঠু ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। রাজনীতিবিদদের কথাবার্তা বলতে হবে বিচক্ষণতার সাথে, বুদ্ধিমত্তার সাথে। আচার আচরণে হতে হবে জনবান্ধব। আদর্শবান জনপ্রিয় রাজনীতিবিদদের কাছ হতে সস্তা ও স্থুল কথাবার্তা জনগণ আশা করেনা। তাদের কথাবার্তা হবে মনোমুগ্ধকর ও আকর্ষণীয়। সকল রাজনৈতিক দলের দলপ্রধান, সরকার প্রধান, সর্বোচ্চ নেতৃবৃন্দ, রাষ্ট্রনায়কচিত আচার আচরণ, কথাবার্তা, সামগ্রিক কর্মকান্ডে জনগণকে আকৃষ্ট করবেন, নিজের ভাবমূর্তি সৃষ্টি করবেন আরো উজ্জ্বল করবেন উহাই প্রত্যাশা। কেউ যদি বলেন ক্রেষ্ট চাইনা, ক্যাশ চাই উহা নিশ্চয়ই জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনার সৃষ্টি করবে। কেউ যদি প্রকাশ্যে অনৈতিক কাজ করেন উহাতে অনাহুত সমালোচনা সৃষ্টি করবেই এবং নিজের এবং দলেরও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করবে। রাজনীতিবিদদের নিবেদিত হতে হবে মানুষের কল্যাণে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও শ্লোগানে। সততা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেমে হবেন তারা আদর্শ মানুষ। মানুষের শ্রদ্ধা অর্জনের গুন রাজনীতিবিদদের অর্জন করতে হবে। এ দেশের সুশীল, সুজন নাগরিক ও নানাবিধ চ্যাটারিং ক্লাবগুলোকেও সুস্থ্য ধারায় আসতে হবে। গোষ্ঠী স্বার্থ ও ব্যক্তিস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে জনগণকে বোকা বানানো যাবেনা। রাজনীতিতে গুনগত পরিবর্তন আনতে হবে। রক্ত দিয়ে কেনা এই স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হবে। সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা, বঙ্গবন্ধু ও ভাসানীর আদর্শকে সামনে রেখে রাজনীতিবিদদের এগিয়ে যেতে হবে অনেক দূর। এদেশের দুঃখী মানুষের মুখে ফুটাতে হবে অনাবিল হাসি। তাহলেই লক্ষ শহীদের রক্তের ঋণ শোধ হবে। তাদের আত্মা শান্তি পাবে। স্বাধীনতা বিরোধী জামাত, হেফাজত, রাজাকার, আলবদর, আলশামস, মুজাহিদবাহিনী ও পাকিস্তানী দালালদের কবর রচনা করতে হবে এখনই। এদের স্তব্ধ করতে না পারলে আইনের শাসন, সুশাসন আলোকিত প্রশাসন গড়া কঠিন হবে। এইসব লাইং স্পিনিং মিল কারখানাগুলোকে অচিরেই দমন করে গণতন্ত্র ও সংবিধানকে সুষ্ঠু গতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে আগামী এক সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য। এদেশের দুঃখী ও বঞ্চিত মানুষগণ সে প্রত্যাশায়ই চেয়ে আছেন জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার মুখপানে। তাই তাকে এগিয়ে যেতে হবে বলিষ্ঠ পদক্ষেপে। আসুন আমরা সবাই শুদ্ধ হই এবং বিশ্বের বুকে রচনা করি সুখী, সমৃদ্ধশালী, উন্নত ও আধুনিক বাংলাদেশ। বিএনপির লাইং স্পিনিং মিলগুলি চিরতরে বন্ধ হোক, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।
(লেখক সাবেক সচিব)