যুক্তরাজ্যে গত বছরের গোড়ার দিকে স্কুলের টয়লেটে বলাৎকার শিকার হয়েছিল দশ বছরের এক স্কুলছাত্র। আর এ জঘন্য কর্মটি করেছিল তারই ক্লাসের এক ছাত্র । আদালত বলছেন, অনলাইনে পর্ণোগ্রাফি দেখার কারণেই দেশের শিশুরা এ ধরণের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে।
সোমবার ইংল্যান্ডের নর্থ ওয়েলসের এক আদালতে এই মামলার শুনানি চলাকালে বলা হয়, ঘটনার দিন তাদের ক্লাসে ইংরেজি পড়াচ্ছিলেন শিক্ষক। ক্লাস চলাকালেই ছাত্রটি ভিকটিমকে তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু এতে সে রাজি হয়নি। ক্লাস শেষে সে টয়লেটে যায়। টয়লেট থেকে ফিরে আসার সময় অভিযুক্ত তাকে জোর করে টয়লেটে ঠেলে দেয় এবং বলাৎকার করে। তখন তারা দুজনের ছিল ১০ বছরের।
আদালতে সরকারি পক্ষের উকিল বলেন, অনলাইনে পর্ণোগ্রাফি দেখার পর অভিযুক্ত এই অপরাধে যুক্ত হওয়ার প্রেরণা পেয়েছিল।তবে এই ঘটনার সঙ্গে সত্যি সত্যিই ইন্টারনেটে পর্ণোগ্রাফি সাইটগুলো সহজলভ্যতার কোনোযোগসুত্র রয়েছে কিনা বিচারকরা তা যাচাই করে দেখবেন বলে জানিয়েছে।
অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বলাৎকারের অভিযোগ আনা হয়েছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ক্লাসমেটকে যৌন তৎপরতায় যুক্ত করারও অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত বছরের গোড়ার দিকে নর্থ ওয়েলসের কলওয়েন বে’র এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই পাশবিক ঘটনাটি ঘটে। তবে বলাৎকারের শিকার শিশুটি প্রথমে এ ঘটনা কারো কাছেই প্রকাশ করেনি। তার আশঙ্কা ছিল, এ কথা জানাজানি হলে অন্য ছাত্ররা তাকে সমকামী বলে খেপাবে। ফলে সে পুরো ঘটনা চেপে যায়। পরে গত বছরের মার্চ মাসে বিছিন্ন এক ঘটনায় শিক্ষকদের জেরার মুখে সে তার ওপর বলাৎকারের কথা ফাঁস করে দেয়। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর তার বাবা-মা পুলিশের কাছে রিপোর্ট করেন । সে জানায়, তাকে নির্যাতন করার সময় অভিযুক্ত ছাত্রটি তার মাথা জোরে ধরে রেখেছিল। পরে সে তাকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে আসে।
এখানেই শেষ নয়। এরপর থেকে প্রায়ই সে তাকে উত্যক্ত করত। তার ভয়ে সে টিফিন বিরতির সময় স্কুলের মাঠে খেলতে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছিল। আদালতের শুনানিতে বলা হয়, একদিন টয়লেট সেরে হাত ধোয়ার সময় তার প্যান্ট খুলে ফেলেছিল।
তবে অভিযুক্ত ছাত্রটি তার বিরুদ্ধে আনীত বলাৎকারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সে জানায়, তাদের দুজনের মধ্যে কোনো যৌন সম্পর্ক হয়নি। ছাত্রটি আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছে, সে মজা করে একদিন ওই ছাত্রকে তার সঙ্গে ডেটিংয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সে তার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিল।