টেকসই শিল্পায়নের লক্ষ্য অর্জনে সরকার দেশীয় শিল্পের স্বার্থ সুরক্ষায় সম্ভব সব ধরনের নীতি সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
তিনি বলেন, আসন্ন বাজেটে দেশীয় শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক সহায়তা দেয়ার বিষয়ে ইতিমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে সুপারিশ করা হয়েছে। বাজেটে এর প্রতিফলন ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বুধবার ফরেন ইনভেস্টরস্ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) এর নবনিযুক্ত নির্বাহী কমিটির সদস্যরা শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ে সভাকক্ষে এ সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফরহাদ উদ্দিন, এফআইসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট রূপালী চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য রিয়াজ ইসলাম ও নয়ন মুখোপাধ্যায়, নির্বাহী পরিচালক জামিল ওসমানসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার শিল্প ও ব্যবসাবান্ধব সরকার। সরকার দেশীয় শিল্পের প্রসারের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি আমদানি বিকল্প দেশীয় শিল্পে কর অবকাশ পেতে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা জমা দেয়ার জন্য এফআইসিসিআই নেতাদের পরামর্শ দেন। প্রস্তাব পাওয়ার পর এ বিষয়ে ইতিবাচক উদ্যোগ নেয়া হবে বলে তিনি নেতাদের আশ্বস্ত করেন।
সাক্ষাৎকালে এফআইসিসিআইর নেতারা শিল্পখাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকার গৃহীত উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তারা বলেন, সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতির ফলে দেশের শিল্পখাতে ইতিমধ্যে বিদেশী বিনিয়োগ প্রবাহ বেড়েছে। তারা টেকসই দেশীয় শিল্পখাত গড়ে তোলার জন্য শুল্ক ও কর সহায়তা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন। তারা বিশেষ করে, আমদানি বিকল্প দেশিয় শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানান।
নেতারা বলেন, ঘন ঘন এসআরও জারির ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের পরিমাণ বাড়ছে। এতে করে ব্যবসায়ীর ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। তারা এক্ষেত্রে ব্যবসাবান্ধব বাস্তবসম্মত উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দেন। সরকারের আয় বাড়াতে কর বৃদ্ধির পরিবর্তে তারা করের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের তাগিদ দেন।