তিস্তা অভিমুখে বিএনপির লংমার্চে প্রাথমিক বিজয় হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে লংমার্চের পঞ্চম পথসভার বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা আলমগীর বলেন, ভারত সব পানি প্রত্যাহার করে আমাদের মাত্র ৪০০ কিউসেক পানি দিচ্ছে। এতে করে নদী শুকিয়ে যাচ্ছে। উত্তরাঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে। নদীর অববাহিকায় ৩ কোটি মানুষের জীবন দুঃসহ হয়ে পড়েছে। আজকে অমরা নিজেদের বাঁচার লড়াইয়ে নেমেছি।
আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি, আমাদের লংমার্চকে সামনে রেখে ভারত আজই তিস্তায় পানি দিয়েছে, যা ১৬০০ কিউসিকে দাঁড়িয়েছে। তাই তিস্তা অভিমুখে বিএনপির লংমার্চে প্রাথমিক বিজয় হয়েছে।
মির্জা আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগের লোকেরা চোখে ঠুলি পরে থাকে। তারা দেখতে পায় না দেশের মানুষ তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ জন্যে মনে করে তাদের কোনো বিপদ নেই। বিপদ তো দেশের ১৬ কোটি মানুষের। কিন্তু আওয়ামী লীগ এটা বুঝতে পারছে না। বুঝতে পারছে না দেশের পুলিশ বাহিনীও। সে জন্য তারা আওয়ামী লীগের নির্দেশে আমাদের উপর জুলুম করে।
পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আর জুলুম করবেন না। বিএনপি দেশের জনগণের সমর্থনে বারবার ক্ষমতায় এসেছে, ভবিষ্যতেও আসবে। তখন একটি একটি করে জুলুমের হিসেব নেয়া হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
ফখরুল বলেন, আমরা মাথা উঁচু করে বাঁচবো। কারো কাছে মাথা নত করবো না। কারো পদানত হব না। আমরা কঠিন সংগ্রামের মাধ্যমেই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করে দাবি আদায় করে ছাড়ব।
গাইবান্ধা থানা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল মান্নাল মন্ডলের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমদ আজম খান, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান রিপন, খায়রুল কবির খোকন, নাজিমুদ্দিন আলম, আব্দুস সালাম, মহিলা দল সভাপতি নূরে আরা সাফাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এরপর গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে এক সংক্ষিপ্ত পথসভায় বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভাপতিত্ব করেন পৌর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। এই পথ সভা শেষে গাইবান্ধা থেকে লংমার্চ রংপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।