ডোবার কাদাপানিতে মুঠো-মুঠো মুঠোফোনের সিম!

ডোবার কাদাপানিতে মুঠো-মুঠো মুঠোফোনের সিম!

sim_ছোট্ট একটি ডোবার কাদাপানিতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে গ্রামের নারী-পুরুষ আর শিশুরা। তবে মাছের জন্য নয়। তাদের এ হুড়োহুড়ি মুঠোফোনের সিমকার্ডের জন্য। ওই ডোবায় পাওয়া যাচ্ছে মুঠো-মুঠো মুঠোফোনের সিম।

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার দক্ষিণ জিয়াপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। গ্রামের ওই ডোবা থেকে বিভিন্ন মুঠোফোন কোম্পানির কয়েক শ সিম তুলেছে গ্রামবাসী।

গ্রামবাসী জানায়, ডোবায় প্রথম সিম খুঁজে পায় সাত বছরের শিশু রিজভী। সকালে ডোবার পাশে শাক তুলতে যায় সে। সেখানে কিছু সিম পড়ে থাকতে দেখে। সিমগুলো কুড়িয়ে নিয়ে গ্রামে ফিরে যায় রিজভী। বন্ধুদের জানায় এ খবর। সঙ্গে সঙ্গে শিশুরা ছুটে যায় ডোবায়। হুড়মুড়িয়ে নেমে সিম খুঁজতে থাকে তারা। মুঠো-মুঠো সিম তুলে আনে শিশুরা। এবার বড়রাও সিমের সন্ধানে ডোবায় নামে।

সাত বছরের শিশু এমরান বলেছে, ‘প্রায় ৩৫টি সিম পেয়েছি।’ গৃহবধূ নাজমা এমরানের চেয়ে আরও বেশি খুশি। তিনি পেয়েছেন ৩০০ সিম। নাজমার মতো যাঁরা অনেক বেশি সিম তুলতে পেরেছেন, ডোবার পাশে বসে তাঁরা সিমগুলো বিক্রিও করছেন। প্রতিটি সিম পাঁচ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ২০ বছরের যুবক সবুজ কাদাপানিতে নামেননি। তিনি ১৫ টাকা দিয়ে তিনটি সিম কিনে নিয়েছেন। এর মধ্যে দুটি চালু। একটি বন্ধ। এতেই দারুণ খুশি সবুজ। জানালেন, ১৫ টাকায় দুটি সিম। কম কী।

গ্রামবাসীর ভাষ্য, সিমগুলো সবই ব্যবহূত। গ্রামীণ, রবি, বাংলালিংক, টেলিটক সব ধরনের মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সিমই খুঁজে পাচ্ছেন তাঁরা। গ্রামবাসী বলছে, কোনো অপরাধী চক্র ব্যবহারের পরে সিমগুলো ফেলে দিয়ে যেতে পারে।

এ ব্যাপারে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার হামিদুল আলম বলেন, কেউ হয়তো সিম নষ্ট করার জন্য ডোবায় ফেলে দিয়ে গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।

জেলা সংবাদ শীর্ষ খবর