২০১৯ বিশ্বকাপেও সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে বাছাইপর্ব খেলে মূলপর্বে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। কেননা, কোয়ালিফাইং রাউন্ড খেলতে হবে র্যাঙ্কিয়ের ৯ ও ১০ নম্বর দলকে। আইসিসির এ সিদ্ধান্ত প্রায় ৬ মাস আগের হলেও সে সময় এটা নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্যই করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
তবে গতকাল সোমবার এ সম্পর্কে মুখ খুলেছেন বিসিবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ যদি বর্তমান র্যাঙ্কিয়ের ৯ নম্বর অবস্থান থেকে নিজেদের উপরে তুলতে ব্যর্থ হয়, তবে ২০১৮ সালে তাদের খেলতে হবে সহযোগী ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর সঙ্গে বাছাইপর্ব। আর এ টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশেই।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের জন্য আরও কঠিন হয়ে উঠছে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টগুলোতে অংশগ্রহণ। ঘরের মাঠে সদ্যসমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডের বাধা পেরিয়েই মূলপর্বে নাম লেখাতে হয়েছে বাংলাদেশকে। সামনের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপগুলোতে এভাবেই ৯ ও ১০ নম্বর দলগুলোকে পরীক্ষায় নামতে হবে সহযোগী দেশগুলোর বিপক্ষে। এবার সেই একই নিয়ম চালু হচ্ছে ওয়ানডে বিশ্বকাপেও। আর সে হিসেবে আসন্ন ২০১৫ বিশ্বকাপের হয়ত শেষবারের মতো সরাসরিই মূলপর্বে খেলার সুযোগ পাচ্ছে মুশফিকুর রহিমের দল। কারণ ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফরম্যাটে পরিবর্তন আসায় আইসিসি র্যাঙ্কিয়ের ৯ ও ১০ নম্বর দলকে যোগ্যতা প্রমাণ করেই অংশ নিতে হবে মূলপর্বে।
এ সিদ্ধান্ত আইসিসির সর্বশেষ সভার নয়। এ সিদ্ধান্ত আরও অনেক আগেই নেওয়া হলেও সে সময় টেস্ট মর্যাদাসহ আইসিসির বিভিন্ন পরিবর্তন নিয়ে এতটাই ব্যস্ত ছিল বাংলাদেশ যে, এটা আমলে নেওয়ার সময়ই পায়নি তারা। আইসিসির বৈঠক শেষে দেশে ফিরে বিসিবির প্রধান নির্বাহী জানিয়ে দিলেন ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলতে হলে র্যাঙ্কিয়ের ৯ ও ১০ নম্বর দলকে পার হতে হবে প্রথমপর্বের বৈতরণী।
সোমবার এ সম্পর্কে নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘গত বছর আইসিসি ডেভেলপমেন্ট ইন্টারন্যাশনালের (আইডিআই) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তখন আইসিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, র্যাঙ্কিয়ের ৯ ও ১০ নম্বর দলকে কোয়ালিফাইং রাউন্ড খেলতে হবে। আর সেরা ৮ দল সরাসরি খেলবে বিশ্বকাপের মূলপর্বে।’