সোমবার রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিত্সা সরঞ্জাম হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ডাক্তারদের সতর্ক করে নাসিম বলেন, ‘কথায় কথায় অহেতুক ধর্মঘট ডাকবেন না। ধর্মঘট ডাকার ফলে একজন রোগী মারা গেলে তার দায়িত্ব নেবে কে? সত্যিকার অর্থে যদি আপনি একজন চিকিত্সক হন, তাহলে ধর্মঘট করবেন না। আমি ধর্মঘট সমর্থন করি না।’ হাসপাতালে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য ডাক্তার-রোগীর স্বজনসহ সকলের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
সম্প্রতি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) ও মিটফোর্ড হাসপাতালে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকে দুঃখজনক হিসেবে আখ্যায়িত করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাজশাহীতে যে রোগীর মৃত্যুর গুজবের কারণে সাংবাদিক ও ইন্টার্নি ডাক্তারদের মধ্যে ঝামেলা হয় সে রোগী এখনও জীবিত আছেন বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় একুশে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ চিকিত্সকদের আসামি করে একটি মামলা করার পর মিটফোর্ড হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিত্সকরা তাত্ক্ষণিক কর্মবিরতি শুরু করেন। অন্যদিকে রবিবার রাতে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সংঘাতের জন্য সাংবাদিকদের দায়ী করে কর্মবিরতি শুরু করেন সেখানকার শিক্ষানবিশ চিকিত্সকরা। রাজশাহী মেডিক্যালে মারধরে ১০ সাংবাদিক আহত হয়। ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করেছে রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।