ফুটবল চলাকালে অনুমতি না নিয়ে কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে কনসার্ট আয়োজন করার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
ঢাকায় ফুটবল চালানোর জন্য বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামই ভরসা। প্রতিদিন দুটি করে খেলা হচ্ছে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে। সকালে দ্বিতীয় বিভাগের খেলা আর বিকেলে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের আসর। টানা খেলার ধকল সামলাতে পারছে না বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম। মাঠের অবস্থা করুণ। অথচ এই স্টেডিয়ামে একের পর এক কনসার্ট আয়োজনের অনুমতি দিয়ে চলেছে মাঠের নিয়ন্ত্রক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)।
শুক্রবার কোন কিছুর তোয়াক্কা না করেই ১৭ ফ্রেবুয়ারি কমলাপুর স্টেডিয়ামে কনসার্টের অনুমতি দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। উইন্টার ফেস্টিভ্যাল ওপেন এয়ার নামে এই কনসার্টের আয়োজক ওয়ালটন গ্রুপ। কনসার্ট আয়োজনের জন্য বাফুফের অনুমতি নেওয়ারও প্রয়োজন বোধ করেনি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ১৭ ফ্রেবুয়ারি কমলাপুরে খেলা না থাকায় সেই দিনটিতেই কনসার্টের অনুমতি দেয় এনএসসি।
কনসার্ট অনুষ্ঠানের ফলে মাঠে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়। কনসার্ট অনুষ্ঠানকারী প্রতিষ্ঠানটি মাঠে ফুটবল খেলা হয় জানার পরও তারা স্টেডিয়ামের বিষয়ে যতœবান ছিলেন না অভিযোগ বাফুফের।
শনিবার বাফুফে পাঠানো প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বরাবরই স্টেডিয়ামে কোন কনসার্ট অনুষ্ঠানের পক্ষপাতি নয়। বাফুফে গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, বিগত কয়েক মাসে উক্ত মাঠে বেশ কয়েকটি কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। কতিপয় বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান উক্ত স্টেডিয়ামকে কনসার্ট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। বাফুফে অনেক পরিশ্রম করে স্টেডিয়ামটিকে আন্তর্জাতিক মানের খেলা অনুষ্ঠানের উপযোগী করে তুলেছিলো। কনসার্ট অনুষ্ঠানের ফলে এখন স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলা চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ জানান, টানা খেলা থাকায় মাঠ বিশ্রামের জন্য রেখেছিলাম আমরা। কিন্তু ফিক্সচারে খেলা না থাকায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কনসার্ট আয়োজনে আমাদের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি। আর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মাঠ বরাদ্ধ দিয়ে দিলে কিছু করার থাকে না।
সম্প্রতি মাঠে কনসার্ট আয়োজনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বিরাগভাজন হন একটি সংস্থার সাধারণ সম্পাদিকা। নির্বাচিত ওই সাধারণ সম্পাদিকাকে সরিয়ে ওই সংস্থায় অ্যাডহক কমিটি দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।