আওয়ামী লীগ সরকারকে রাক্ষুসে আখ্যা দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, “এই রাক্ষুসে সরকারের মতো আর কোনো সরকার বাংলাদেশে ছিল না। তারা দানব সরকার। তাই তাদের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলে তাদেরকে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে।”
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত তারেক রহমানকে নিয়ে ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, “আওয়ামী লীগে তারেক রহমানের মতো নেতা তৈরি করতে পারবে না বলেই তার বিরুদ্ধে অব্যাহত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তাই তার কথা শুনলে তাদের গায়ে আগুন জ্বলে।”
আব্বাস বলেন, “৭১ সালে আওয়ামী লীগের নেতারা স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশ না নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে। আর বিএনপি নেতারা মাঠে থেকে যুদ্ধ করেছে। বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তৈরি করেছে। সীমান্ত পাড়ি দিলে মুক্তিযোদ্ধা হওয়া যায় না। মুক্তিযোদ্ধা হতে হলে মাঠে যুদ্ধ করতে হয়।”
বিএনপির এই নেতা বলেন, “জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছেন। এটা ঐতিহাসিক প্রমাণিত সত্য। বিএনপিই প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের দল, আওয়ামী লীগ নয়। শুধু মাত্র বর্ডার পালালেই মুক্তিযোদ্ধা হওয়া যায় না।”
তিনি বলেন, “আজকে দেশে বাকস্বাধীনতা নেই, আমরা ঘরে বাইরে কোথাও কথা বলতে পারি না, বক্তব্য রাখতে পারি না। গ্রেফতার নির্যাতন চালিয়ে পুরো দেশটাকেই একটা কারাগারে পরিণত করেছে। এই সরকার দানব সরকার, ইন্ডিয়ার তাবেদারি করে দেশের সবকিছুই বিকিয়ে দেয়া হচ্ছে।”
মির্জা আব্বাস বলেন, “অনেক হয়েছে। আমরা আর সহ্য করতে চাই না। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হলে রাজপথে আন্দোলনের বিকল্প নেই। তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমেই তাকে বীরের বেশে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাদেরকে ভুয়া স্লোগান নয়, রাজপথে আন্দোলন করতে হবে।”
তিস্তা অভিমুখে লংমার্চ বিষয়ে মির্জা আব্বান বলেন, “পানির অভাবে আমাদের জীবন জীবিকা আজ বিপর্যস্ত। শোনা যাচ্ছে লংমার্চে নাকি বাধা দেয়া হবে। কিন্তু আমাদের এই কর্মসূচি হচ্ছে দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে তাই আমরা আশা করছি আওয়ামী লীগ এতে বাধা না দিয়ে সহযোগিতা করবে।”
যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন যুবদলের নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আকবর হাওলাদার চুন্নু, যুগ্ম আহবায়ক জুবায়ের আজাদ, হারুন রেজাসহ যুবদল নেতারা।