বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দল (বিপিএল) ঢাকা গ্লাডিয়েটসের্র মালিকানা ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী।
সেলিম চৌধুরি গুলশান ক্লাবে গণমাধ্যমকে মাধ্যমকে বলেছেন, চলমান ট্রাইব্যুনালের রায় তাদের পক্ষে অথবা বিপক্ষে গেলেও তাদের কোন কিছু যায় আসবে না। তিনি বলেছেন, ঢাকা গ্লাডিয়েটসের্র সঙ্গে তিনি আর থাকতে চাইছেন না।
গুলশান ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ফিক্সিংয়ের ঘটনায় আইসিসি ও আইসিসি দুর্নীতি দমন বিভাগ (আকসু) নিজেই জড়িত বলে অভিযোগ করেন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস এর আইনজীবীরা। তারা বলেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ফিক্সিংয়ের ঘটনায় একমাত্র আশরাফুল ছাড়া কেউ ফিক্সিংয়ের দায় স্বীকার করেনি।
ইতোমধ্যে বিপিএল ফিক্সিংয়ের ঘটনায় ট্রাইব্যুনাল আশরাফুলের ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণও পেয়েছে। তবে আশরাফুল ছাড়া বিদেশি অনেক ক্রিকেটার ফিক্সিংয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার পরও আকসু তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেনি।
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস এর আইনজীবী ব্যারিস্টার নওরোজ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ফিক্সিংয়ের ঘটনায় আইসিসি ও আকসুর কিছু লোক জড়িত ছিল। তারা পরিকল্পনা করেই বিপিএল বন্ধ করেছে। তার প্রমাণও রয়েছে। কারণ বিসিবি ২ কোটি টাকা খরচ করে যে আকসুকে নিয়োগ দিয়েছে তারা বাংলাদেশের টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছে। তারা শুধু বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। বিদেশি কোনো ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেনি।
এছাড়া তিনি বলেন, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ফিক্সিংয়ের ঘটনায় ওই দেশের ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি সহ প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ থাকার পরও আইপিএল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) কেন বন্ধ হয়েছে?
এছাড়া তিনি বলেন, বিপিএলে বাংলাদেশের যে সকল ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল বিশেষ করে মোশারফ হোসেন রুবেল ও মাহবুব আলম রবিন নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার পরও তারা ক্রিকেটে ফিরতে পারছেনা।