আশা-নিরাশার দোলাচলে দুলছে টেস্ট

আশা-নিরাশার দোলাচলে দুলছে টেস্ট

ঢাকা: একটা জায়গায় মিলে যাচ্ছে, প্রত্যেকে বলছেন উইকেট ভালো। তাহলে তো বাংলাদেশের জন্য সুখবর। বেশি তো নয়, ৩৪৪ রান করতে হবে। আপাত দৃষ্টিতে অসম্ভব কোন লক্ষ্য নয়। তারপরেও শেষ দিনের খেলা বলে কথা!

প্রথমত: চতুর্থ ইনিংসে ৫০০ রান চেজ করে বিশ্বক্রিকেটে কোন দলেরই জেতার রেকর্ড নেই।
দ্বিতীয়ত: বাংলাদেশ আগে কখনো কোন ইনিংসেই এত রান করেনি।
তৃতীয়ত: শেষ দিন উইকেট সামান্য হলেও ভাঙ্গবে।
চতুর্থত: যে কোন মূল্যে জিততে চেষ্টা করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

খুব একটা সহজ সমীকরণ নয়। ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই পেতে হলে বাংলাদেশকে অসীম ধৈর্য্যরে পরিচয় দিতে হবে। চঞ্চলমতি ক্রিকেটারদের জন্য কঠিন কাজ। তবে জয়ের হিসেবে না কষে শেষপর্যন্ত খেলার চেষ্টা করলে ফল ভালো হবে। খেলা ড্র। সেই সঙ্গে সিরিজ ড্র।

বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা শেষপর্যন্ত খেলার চিন্তাতেই আছেন। যুক্তি দিয়ে সাকিব আল হাসান বোঝানোর চেষ্টা করলেন কেন ড্র’র জন্য খেলা ভালো,“উইকেট খুবই ভালো। কেউ যদি চায় লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং করতে পারবে। আউট করা সহজ নয়। আবার দ্রুত রান তোলাও কঠিন। সেদিক থেকে সেশন ধরে খেললে টেস্ট ড্র করা সম্ভব।”

দিন শেষে তিন উইকেটে ১৬৪ রানে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ৮২ রানে অপরাজিত। তার সহখেলোয়াড় মুশফিকুর রহিম ৩৩ রানে অবিচ্ছেদ্য। তাদের ছাড়াও সাজঘরে অপেক্ষায় থাকছেন আরো ছয় ব্যাটসম্যান। হিসেব সহজ, প্রত্যেকে ক্রিজে গিয়ে ঠেক দিলেই হয়ে গেলো। যদিও টেস্ট ক্রিকেট ক্ষণে ক্ষণে রং বদলায়। উইকেট পড়তে থাকলে এক সেশনেই সব শেষ হয়ে যেতে পারে। অতএব প্রধান কোচ স্টুয়ার্ট ল’র তত্ত্ব মেনে খেললে শেষটা ভালো হতে পারে।

ড্র’র পক্ষে যারা যুক্তি দেখিয়েছেন, তাদেরই একজন শাহরিয়ার নাফিস। বললেন,“উইকেট খুবই ভালো। আমার আউট হওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা যদি ধরে খেলতে পারি তাহলে ড্র হতে পারে। দ্বিতীয় সেশন পর্যন্ত আমাদেরকে ৫ থেকে ৬টি উইকেট ধরে রাখতে হবে। তা না হলে কঠিন হয়ে যাবে।”

একজন অবশ্য ব্যতিক্রম। নাঈম ইসলাম আগে পাছে না ভেবে বলে দিয়েছেন জয়ের জন্য খেলবেন। মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবাল কোন কিছু বলেননি। তারা যে খেলছেন।

যোগবিয়োগ করলে এখনো তিনটি সম্ভাবনা দোল দিচ্ছে বাংলাদেশ দলের সামনে। এক: জয়, পরাজয় এবং ড্র।

আরেকটি পরিসংখ্যান দিয়ে শেষ করা যাক। শ্রীলঙ্কার বেঁধে দেওয়া ৫২১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চতুর্থ ইনিংসে ৪১৩ রান করতে পেরেছিলো বাংলাদেশ। ওই টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শেষে তাদের সংগ্রহ ছিলো পাঁচ উইকেটে ২৫৪ রান। এবার রান কম হলেও উইকেট আছে। বিশেষ করে তামিম যদি পঞ্চম দিনের একটি সেশন উইকেট আগলে রাখতে পারেন তাহলে..!

খেলাধূলা শীর্ষ খবর