খালেদাকে ৩ ইস্যুতে আন্দোলনের পরামর্শ দিলেন কাজী জাফর

খালেদাকে ৩ ইস্যুতে আন্দোলনের পরামর্শ দিলেন কাজী জাফর

zafor55বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে পানি, খুন ও গুম এই ৩ ইস্যুতে আন্দোলনের পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান কাজী জাফর।

শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক স্মরণসভায় কাজী জাফর খালেদাকে এ পরামর্শ দেন। প্রয়াত সাংবাদিক এবিএম মূসা স্মরণে অপরাজেয় বাংলাদেশ স্মরণসভার আয়োজন করে।

কাজী জাফর খালেদার উদ্দেশে বলেন, ‘তিস্তা ইস্যু নিয়ে একটা প্রচণ্ড আন্দোলনের সুযোগ রয়েছে। তাই ছোট ছোট ইস্যুগুলো পাশ কাটানো ঠিক হবে না।’

জনগণের উদ্দেশে কাজী জাফর বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকার যখন গণতন্ত্রের গলা চেপে ধরে, তখন একটু অপেক্ষা করতে হয়। ভাবতে হয় রণকৌশল নিয়ে। আমরাও তাই করছি। ভারতের নির্বাচন শেষ হলেই আন্দোলন শুরু হবে।’

এবি সিদ্দিকের অপহরণ প্রসঙ্গে কাজী জাফর বলেন, ‘এবি সিদ্দিকের স্ত্রী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান দেশে ও বিদেশে সমান পরিচিত। অনেক ভালো কাজের জন্য সম্মানও পেয়েছেন। তাই আর এবি সিদ্দিককে আটকে রাখা সম্ভব হয়নি। অনেকটা বাধ্য হয়েই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিএনপি নেতা হিরু ও ইলিয়াস আলী কই? এখনও সময় আছে গুম হওয়া সবাইকে ফেরত দিন।’

সরকারের উদ্দেশে এসময় তিনি হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, ‘বাংলাদেশে আপনারা এখন ১০ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করেছেন। কিন্তু যতোই চেষ্টা করেন, এ দেশকে কখনোই নেপাল বা ভুটান বানাতে পারবেন না।’

প্রায়াত সাংবাদিক এবিএম মূসার কথা স্মরণ করে কাজী জাফর বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে এই মানুষটিকে জীবিত থাকতেও সম্মান দেয়া হয়নি, আবার মৃত্যুর পরও দেয়া হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘এবিএম মূসা মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন এবং তিনি একজন সংসদ সদস্য ছিলেন। তাই সংসদে তার জানাজা হওয়ার নিয়ম ছিল। কিন্তু এই মানুষটি বিভিন্ন সময় টকশোতে সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করায় তার উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশের) সভাপতি গাজী রুহুল আমিন বলেন, ‘মূসা ভাই একটি টেলিভিশন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে সে অনুমতি দেয়া হয়নি। বলা হয়েছে, আপনি এতো টাকা কোথায় পাবেন? আজ আমাদের প্রশ্ন যারা টেলিভিশন চালাচ্ছেন তাদের টাকার খোঁজ কি নিয়েছেন আপনারা?’

মৎসজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক মিলন মেহেদী বলেন, ‘শেখ হাসিনার জন্য নেচারাল পানিশমেন্ট অবধারিত। তার পরিণতিও হবে তার বাবার মতো।’

অপরাজেয় বাংলাদেশের সভানেত্রী ফরীদা মনি শহিদুল্লাহর সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরো বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, ছাদেক খান প্রমুখ।

রাজনীতি শীর্ষ খবর