জিয়াউর রহমানকে নিয়ে লন্ডনে সৈয়দ আশরাফুলের বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সৈয়দ আশরাফুলের বক্তব্য প্রমাণ করে তারা সব সময় মিথ্যা কথা বলেন।’
তিনি বলেন, আজকে পত্র-পত্রিকায় খবর এসেছে সৈয়দ আশরাফুল মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমানের অধীনে ট্রেনিং নেওয়ার কথা স্বীকার করছেন। সৈয়দ আশরাফুলের বক্তব্য প্রমাণ করে তারা (আওয়ামী লীগ নেতারা) সব সময় মিথ্যা কথা বলেন।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ মিলনায়তনে শনিবার বিকালে শ্রমিক দলের ৭ম জাতীয় সম্মেলন ও কাউন্সিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা মির্জা আলমগীর।
শ্রমিক দলের সভাপতি ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
প্রসঙ্গত, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভূমিকার বিরল স্বীকৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে যদি কারও বিন্দুমাত্র ভূমিকাও থেকে থাকে তাকে অস্বীকার করা যাবে না।’ জিয়ার ক্যাম্পে নিজের ট্রেনিং নেয়ার কথা উল্লেখ করেন তিনি। মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার পূর্ব লন্ডনের টয়েনবি হলে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা আলমগীর বলেন, তারেক রহমান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরেছেন। কিন্তু এ যুক্তি খন্ডন না করে আওয়ামী লীগের প্রবীণ রাজনীতিবিদরাও সংসদে যেভাবে অশালীন কথা বলছেন, তা কোনো সভ্য দেশের ভাষা হতে পারে না।
জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক উল্লেখ করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবেই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে বহির্বিশ্বের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে সহযোগিতা চেয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ কখনও স্বাধীনতা চায়নি। যে কারণে ২৭ মার্চ হরতাল ঘোষণা করা হয়েছিল।
সরকারের বিরুদ্ধে সমগ্র দেশকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ এনে মির্জা আলমগীর বলেন, এ অবস্থা উত্তরণে আন্দোলনের বিকল্প নেই। আন্দোলনের মাধ্যমে নির্দলীয় সরকারের অধীনে সরকারকে নির্বাচনে বাধ্য করতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমেই বর্তমান ক্ষমতাসীনদের বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় কিছু কৌশল অবলম্বন করে থাকে। তারা যখন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তখনই একটি ইস্যু তুলে দৃষ্টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে চায়। কিন্তু তাদের এ ধরনের কৌশল জনগণ ধরে ফেলেছে।
বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনো ধরনের নৈতিক অধিকার নেই দাবি করে মির্জা আলমগীর বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন দেশের জনগণ বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণ যেহেতু ভোট দেয়নি সেহেতু যারা নিজেদের নির্বাচিত বলে মনে করেন তারা অবৈধ। তারা দখলদারের ভূমিকায় অবতীর্ন হয়েছে।