রানা প্লাজায় নিহতদের স্মরণে ২৪ এপ্রিল শোক দিবস পালন করবে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএ সদস্যভুক্ত সব কারখানা।
ওই দিন সকাল ৯টায় কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বিজিএমইএ ভবনে এ কর্মসূচি শুরু হবে। এরপর সকাল ১১টায় বিজিএমইএ ভবনের সামনের রাস্তায় শোক র্যালি, ১২টায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে নিহত শ্রমিকদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। দোয়া মাহফিলে মোনাজাত পরিচালনা করবেন জাতীয় মসজিদের খতিব অধ্যাপক মাওলানা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন।
শনিবার বিজিএমইএ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম এ সব কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে শ্রম সচিব মিখাইল শ্রিফার, বিকেএমইএ এর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিজিএমইএ এর সাবেক সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ও সাবেক সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি ওই দিন পোশাক শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিল্প, বিশেষ করে ব্যাংক, বীমা, ফ্রেইট ফরওয়ার্ড, কার্টুন, পলিব্যাগ, এক্সরিজ, সুতা, টেক্সটাইল, টেরিটাওয়েল, ওয়াশিং, ড্রায়িং শিল্পে কর্মরত শ্রমিক, ট্রাক-কাভার্ট ভ্যান চালকসহ দোকানদারদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে ২৪ এপ্রিল দুপুর ১২টা ১ মিনিটে মোনাজাতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
এ ছাড়া ২১ এপ্রিল শ্রমমন্ত্রী মজিবুল হক চুন্নুর নেতৃত্বে পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তা, শ্রমিক নেতারা জুরাইনে সমাহিত রানা প্লাজায় নিহত শ্রমিকদের কবর জিয়ারত করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আতিকুল ইসলাম আরও জানান, রানা প্লাজায় দুর্ঘটনার শিকার শ্রমিকদের সহায়তার জন্য এ পর্যন্ত বিজিএমইএ এর পক্ষ থেকে ১৪ কোটি ৫০ লাখ ৮ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে।
এসব অর্থের মধ্যে ৩ কোটি ৯০ লাখ চিকিৎসা সহায়তা বাবদ, বেতন ও অন্যান্য সুবিধা বাবদ ৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা, প্রধানমন্ত্রীর ফান্ডে ২ কোটি টাকা, প্রসূতি শ্রমিকদের ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং উদ্ধার ও পুনর্বাসন কাজে ৯৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে এ পর্যন্ত ২২ কোটি ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ৭২০ টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে ৩৬ জন গুরুতর আহতদের জন্য। ১২ কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার দেওয়া হয়েছে ৭৯৮ জন নিহত শ্রমিক পরিবারের ১ হাজার ৯৯ জন সদস্যকে। ২ কোটি ৭৬ লাখ দেওয়া হয়েছে ডিএনএ সনাক্তকৃত ১৪৬ জন নিহত শ্রমিক পরিবারের ২২৮ জন সদস্যকে।
এ ছাড়া আহতদের চিকিৎসা সহায়তা বাবদ ২২টি হাসপাতাল ও ক্লিনিককে ১ কোটি ৪২ লাখ ১৪ হাজার টাকা, স্বেচ্ছাসেবক এজাজ উদ্দিন চৌধুরীর উন্নত চিকিৎসার জন্য ১ কোটি ৫ লাখ টাকা, তার পরিবারের সদস্যদের ১২ লাখ টাকা, ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরিকে ৫০ হাজার টাকা ও দুর্ঘটনাস্থল টিন দিয়ে ঘিরে রাখার জন্য ৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।