একেই হয়তো বলে কেঁচো খুড়তে কেউটে ৷ নিষিদ্ধ ওষুধ সেবন করার দায়ে আঠারো মাস নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছেন জামাইকান স্প্রিন্টার আসাফা পাওয়েল ৷ তারপরই চাঞ্চল্যাকর তথ্য বেরিয়ে বেরিয়ে এল ৷ এবং তাতে জামাইকার ডোপিং বিরোধী সংস্থা রীতিমতো প্রশ্নের মুখে ৷ পাওয়েলকে নির্বাসিত করেছিল ডিসিপ্লিনারি প্যানেল ৷ সেই প্যানেলের এক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ লেনক্স গেইল নামের সেই কর্মীর বিরুদ্ধে মধুচক্র চালানোর অভিযোগ ছিল ৷ যাবতীয় তথ্যাদি সংগ্রহ করে পুলিশ গেইলকে গ্রেফতার করে ৷ ৪৫ বছর বয়সী গেইল পেশায় আইনজীবী ৷ মন্টেগো বে অঞ্চলে ম্যাসাজ পার্লার চালাতেন গেইল ৷ অনৈতিক ভাবে পয়সা উপার্জন করতেন তিনি ৷ তাঁর কার্যকলাপ রীতিমতো সন্দেহজনক ছিল ৷ গেইলের সঙ্গে পুলিশ সাত জন মহিলাকে গ্রেফতার করেছে ৷ ৫ মে তাঁকে আবার আদালতে হাজিরা দিতে হবে ৷
জামাইকার অ্যাথলিটরা ডোপ নেন, এমন অভিযোগ করে আসছেন অনেক ক্রীড়াবিশেষজ্ঞই ৷ কার্ল লুইসের মতো কিংবদন্তিও বলেছেন, জামাইকার ডোপিং নীতি ঠিক নয় ৷ নিষিদ্ধ দ্রব্য নেওয়ার অভিযোগে আসাফা পাওয়েল নির্বাসিত হওয়ার পরপরই মধুচক্র চালানোর অভিযোগে গেইলের গ্রেফতার হওয়া কিন্তু অন্য ইঙ্গিতই বহন করছে ৷