পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেছেন, ‘পদ্মাসেতু নির্মাণে অর্থের আর কোন সমস্যা নেই। তাই স্বপ্ন এখন বাস্তব হতে চলেছে। আগামী সাড়ে ৩ বছরে স্বপ্নের জায়গাটি আমারা স্পর্শ করতে পারবো। সেই লক্ষ্যে সব কর্মকাণ্ড চলছে।’
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পদ্মাসেতু এলাকা পরির্দশনকালে মন্¿ী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল হাসান বাদল, সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী নূর হোসেন, লৌহজং উপজেলা চেয়ারম্যান ওসমান গনি তালুকদার , আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশীদ শিকদারসহ পদ্মাসেতু বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ ।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ২ হাজার ৪২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যা আগামী জুন মাসের মধ্যেই খরচ করা হবে। এই পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে ৫টি প্যাকেজ হাতে নেয়া হয়েছে। প্যাকেজগুলো হচ্ছে, প্রথমটি জাজিরা এ্যাপ্রোচ, দ্বিতীয়টি মাওয়া এ্যাপ্রোচ রোড, তৃতীয়টি থাকার জন্য বাসস্থান, চতুর্থটি মেইন সেতু ও পঞ্চমটি নদী শাসন। এই সেতু বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি মধ্যম আয়ের দেশ।’
পরে মন্ত্রী পদ্মা পাড় হয়ে মাদারীপুরের কাওড়াকান্দিতে পদ্মার সেতুর এলাকা পরিদর্শন করে এক সভায় মিলিত হন। এই সময় সেতু পবিভাগের সচিব, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট ঊর্ধতন কর্মকর্তাগণ অংশ নিচ্ছেন।