‘শান্তিপূর্ণ ও দেশের স্বার্থে তিস্তা অভিমুখে বিএনপির লং মার্চ কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে সরকার বাধা দিলে তার বিচার জনগণ করবে।’
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
‘লং মার্চে সহিংসতা হলে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে’ সরকারী দলের নেতাদের এই বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে বিএনপির সেই শিক্ষা, রুচি ও ঐতিহ্য রয়েছে। দেশ ও জাতীয় স্বার্থে বিএনপি এই কর্মসূচি নিয়েছে। তিস্তা ব্যারেজ এদেশের মানুষের বাঁচা মরার সঙ্গে জড়িত। তাই সকল দায়দায়িত্ব নিয়ে বিএনপি এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হোক এটা চায়, তারা তো নাশকতার কথা বলবেন। পানি আটকে দিলে পরিবেশ বিপন্ন হলে তাদের কি বা আসে যায়। তাদের লক্ষ্য তো প্রভুর স্বার্থ রক্ষা করা।’
১৯ শতকের মত দেশে ঠগিদের শাসন চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাদের মত বর্তমানে চারদিকে অবৈধ কর্মকাণ্ড করার ভয়ঙ্কর নেটওর্য়াক গড়ে তুলেছে। ঠগিদের মত সময়ে যেমন পথচারী, ব্যবসায়ীসহ নিজ পেশার কাজে ভ্রমনরত নানা স্তরের মানুষকে কৌশলে নিজেদের আওতায় নিয়ে অদৃশ্য করে দিতো। এখন ঠিক সেই পদ্ধতিই বিরাজ করছে।’
রিজভী বলেন, ‘দেশ আজ লেন্দুক দর্জীর কবলে। দেশের প্রকৃত স্বাধীনতা আজ কী সেটি এখন সবার জিজ্ঞাসা। সরকার প্রধান কী প্রধানমন্ত্রী না মূখ্যমন্ত্রী সবার মুখে মুখে এখন একটি মাত্র জিজ্ঞাসা।’
বিএনপি বিশ্বাস করে যারা ইলিয়াস আলীর গুমের সঙ্গে জড়িত তারাই রিজওয়ানার স্বামী আবু বকর সিদ্দিকীকে অপহরণ করেছিলো। ধরণ প্রায় একই রকমের। এই দূরভীসন্ধিমূলক পরিকল্পনার অভিমুখ শুধু বিরোধী দল নয় বরং নাগরিক স্বাধীনতার দিকে বলে মন্তব্য করেন রিজভী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মাসুদ হোসেন তালুকদার, সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহিন,মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।