স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বিএনপি-জামায়াতকে উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। আন্দোলন কিভাবে করতে হয় আওয়ামী লীগ তা জানে। তত্বাবধায়ক সরকার মরে গেছে। কবর থেকে আর কোনোদিন উঠবে না। শেখ হাসিনার অধীনে ২০১৯ সালে একাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
বৃহস্পতিবার দুপরে মেহেরপুরের মুজিবনগর আম্রকাননে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
একই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, ‘যারা জাতীয় সঙ্গীত বিশ্বাস করে না, তারা এ দেশকে বিশ্বাস করে না।’ এ সময় মুজিবনগর দিবস থেকে শপথ নিয়ে জঙ্গিমুক্ত, রাজাকারমুক্ত দেশ গড়তে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
একই অনুষ্ঠানে নৌ পরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘খুন ধর্ষণ যদি পাপ হয় তাহলে একাত্তরের যারা পাপ করেছে তাদের বিচার করে এ দেশ পাপমুক্ত করা হবে।’
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মুর্খ আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিলীন করতেই পাকিস্তানের মদদে বিএনপির নেতারা ইতিহাস পাল্টে দিতে চাইছে।’
এর আগে সকাল সাড় ১০টায় ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ছয় মন্ত্রী শেখ হাসিনা মঞ্চের জনসভায় যোগ দেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মো. নাসিম। প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
তারা বেলা ১১টায় মুজিবনগর স্মৃতি সৌধে শহীদদের স্মরণে পুষ্পার্ঘ অর্পন করেন। এরপর পুলিশ ও আনছার সদস্যরা তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করেন। জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তলনের পর তারা শেখ হাসিনা মঞ্চে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহি চৌধুরী, মুজিবনগর সরকারের গার্ড অব অনার প্রদানকারী মাহবুব উদ্দীন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, হুইপ সোলাইমান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুন্নজান সুফিয়ান, মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন, মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিয়াজান আলী প্রমুখ।