চর ও হাওরের অবহেলিত মানুষের উন্নয়নের জন্য আগামীতে বাজেট বরাদ্দ রাখা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেন, “আমাদের সকলের উচিত চর ও হাওর এলাকার জন্য নিরলসভাবে কাজ করা। বাজেটের বিষয়ে আগামীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। পাশাপাশি আপনাদেরকেও এ বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্স ও উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে জাতীয় বাজেটে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ ও বাস্তবায়ন কেন জরুরি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সংগঠনের চেয়ারম্যান খন্দকার ইব্রাহিম খালেদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন খন্দকার আজিজুল হক আরজু এমপি, প্রফেসর ড. মোকাদ্দেম হোসেন, এ কে এম মুসা, শাহেন উল আলম প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে দেশের বিস্তীর্ণ বিছিন্ন চরাঞ্চল এখনো সবচেয়ে অবহেলিত এক জনপদ হিসেবে চিহ্নিত। এ কারণেই চলাঞ্চলের অতিদরিদ্ররা যেমন উন্নয়ন বঞ্চিত তেমনি উন্নয়নের মূলধারাতেও তারা সংযুক্ত হতে পারেনি।
তারা বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশের একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে চর এলাকা। এর মধ্যে কোনো কোনো চর মূলভূমির সঙ্গে সংযুক্ত। আবার অসংখ্য দুর্গম চর রয়েছে মূলভূমির সঙ্গে যেগুলো যোগাযোগ বিছিন্ন। বাংলাদেশের মোট ভুমির বড় এক অংশ চরভূমি। ৩২টি জেলার শতাধিক উপজেলার অংশবিশেষ চরাঞ্চল। প্রায় ৫০-৬০ লাখ মানুষ চরে জীবনব্যাপী বহুবিধ ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করে।
বক্তরা বলেন, ২০০৯-১০ ও ২০১০-১১ বাজেটে চরের মানুষের জন্য বরাদ্ধ থাকলেও ২০১১-১২, ২০১২-১৩, ২০১৩-২০১৪ বাজেটে চরের অতিদরিদ্র মানুষের সার্বিক জীবন মান উন্নয়নে আলাদা করে সুনিদ্দিষ্টভাবে কোনো বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়নি। আমরা সরকারের কাছে চরের মানুষের জন্য আলাদা বরাদ্ধ দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।