রাজধানীসহ সারাদেশের ব্যাংকগুলোতে ১ ও ২ টাকা গ্রহণের অনাগ্রহের ফলে বিপাকে পড়েছেন ছোট ও মাঝারিসহ সব ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, বাধ্যতামূলক হলেও মূল্য হারানোয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ১ ও ২ টাকার কয়েন এখন আর গ্রহণ করছে না। তার পরও ১ ও ২ টাকার কয়েনের মজুদ গড়ে তুলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সোনালী ব্যাংকের দুটি শাখার ভল্টে চুরির পর তারাও আর ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত অর্থ রাখছে না। অতিরিক্ত অর্থ তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখছে। এতে ভল্টে স্থানসংকুলান না হওয়ায় অস্বস্তিতে আছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও। এ অবস্থায় চট্টগ্রামে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে ধারণক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। একই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে রংপুর ও বরিশালেও।
খুলনার ব্যাংকগুলো ২ টাকার নোট গ্রহণ করছে না বলে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কাজী আমিনুল হক।
এদিকে আরও জানা গেছে, ১ ও ২ টাকার নোট এবং কয়েন মিলিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে জমা রয়েছে ৬৫ কোটি ৭১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। চলতি মাসে আরো ১ টাকার ৫ কোটি ও ২ টাকার ৫ কোটি পিস কয়েন দেশে আসার কথা রয়েছে। এছাড়া আরো ১৫ কোটি ১ টাকার কয়েন জুনের মধ্যেই দেশে আসবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকগুলোর দশমিক ১ শতাংশ হারে কয়েন নেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এর পরও গড়ে তোলা হচ্ছে ১ ও ২ টাকার কয়েনের মজুদ। আবার অনেক ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও বাণিজ্যিক ব্যাংক ও গ্রাহকদের কাছ থেকে খুচরা অর্থ গ্রহণে আগ্রহী হচ্ছে না। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
উল্লেখ্য, ধাতব মুদ্রাকে জনপ্রিয় করতে সরকার ৫০ কোটি ১ টাকা ও ৫০ কোটি ২ টাকা মূল্যমানের মুদ্রা সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়। ২০১২ সালের ৩০ মে ধাতব মুদ্রা তৈরির জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়। সাতটি দেশের টাঁকশাল এতে অংশ নেয় ও সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে জাপান মিন্ট কাজ পায়।