‘জিএসপি শর্ত পূরণে আইনি জটিলতা রয়েছে’

‘জিএসপি শর্ত পূরণে আইনি জটিলতা রয়েছে’

garments workerশ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মিকাইল শিপার বলেছেন, জিএসপি ফিরে পাওয়ার কিছু শর্ত এখনো পূরণ করা সম্ভব হয়নি। কোনো কোনো শর্ত পূরণে আইনি জটিলতা রয়েছে। এজন্য আমরা সময় চেয়ে নিয়েছি। শর্ত অনুযায়ী আমরা আগামী ৩০ জুনের মধ্যে সব কারখানা পরিদর্শক নিয়োগ দিতে পারব। ইতোমধ্যে ২৫ জন পরিদর্শক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

বুধবার সচিবালয়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ইউলিয়াম হানা, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন ও কানাডার রাষ্ট্রদূত হিদার ক্রুডেন উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপির অগ্রগতির প্রতিবেদন পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিবেদন পাঠানোর একদিন পর এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।

শ্রম সচিব জানান, গত বছরের ২৭ জুন যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি সুবিধা স্থগিত করে। তারা কল-কারখানার পরিবেশ উন্নত, পরিদর্শনসহ শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতের বিষয়ে দুই মাস সময় দেয়।

তিনি বলেন, শ্রম আইনের অধীনে বিধিমালা করতে আমাদের আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। কারখানাগুলোর ডাটাবেজ তৈরি করতে আমরা সময় পাবো মে মাস পর্যন্ত।

এছাড়া কারখানার ভুলত্রুটি ধরিয়ে জিএসপি সুবিধা রিভিউ করার কথা জানিয়ে মার্কিন সিনেট কমিটির পক্ষ থেকে একশন প্ল্যান দেয়া হয়। এতে ষোলটি শর্ত ছিল। এরমধ্যে বিল্ডিং কোড অনুযায়ী কারখানা তৈরি, কারখানাগুলোতে দুইশ’ পরিদর্শক নিয়োগ ও ইপিজেডে ট্রেড ইউনিয়ন চালুসহ কিছু শর্ত পূরণের কার্যক্রম শুরু হলেও শেষ হয়নি।

অর্থ বাণিজ্য শীর্ষ খবর