উপজেলা নির্বাচনের সব সহিংসতাই বিচ্ছিন্ন ঘটনা দাবি করার পাশাপাশি উপজেলা নির্বাচনের শুরুতে দীর্ঘ ছুটিতে যাওয়াকে যুক্তিক দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, আমার কিছু ব্যক্তিগত কাজ থাকায় আমি ছুটি নিয়েছি। আমি থাকলে সহিংসতা কম হতো তা কিন্তু নয়। আমি থাকলেও ভোট জালিয়াতি হতো। আমরা নির্বাচনের প্রক্রিয়া আগেই ঠিক করেছি। তিনি বলেন, আমার ছুটির ব্যাখ্যা কাউকে দিতে হবে না।
ষষ্ঠ ধাপে উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় বুধবার বিকেলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন।
তার ছুটির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টার বক্তব্যের ব্যাপারে সিইসি বলেন, সিইসি কারো কাছে ছুটি নেয় না। আর আমার ছুটির ব্যাখ্যা কারো দেয়ার দরকার নেই। তিনি বলেন, লেজে পাড়া পড়লে সরকারও ইসির সমালোচনা করে।
নির্বাচন কর্মকর্তাদের সহায়তায় আগের রাতে ব্যালট পেপারে সিল মারা বিষয়কে তিনি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, সব ঘটনাই বিচ্ছিন্ন ঘটনা। একারণে সব ঘটনাকে আলাদাভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব এ ধরণের মানষিকতা বদলাতে হবে।
ছুটি মানবিক দাবি করে তিনি বলেন, কমিশন কারো কাছে ছুটি নিতে হয় না। সিইসি নিজেই নিজের ছুটি মঞ্জুর করে। এটা একটা মানবিক দিক। রাজনৈতিক দল বা অন্যরা সমালোচনা করতেই পারেন। এটা কোন সমস্যা নয়।
সহিংসতা মানসিক সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি থাকলেও সহিংসতা হতো। নির্বাচনের বিষয়ে আগেই সবকিছু ঠিক করা ছিল। কখন কি ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমি না থাকলেও নির্বাচন ঠিকভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, পূর্বের ধারাবাহিকতায় আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। তবে সহিংসতার আশঙ্কা আমরা করছি না তাই বাড়তি কোনো ব্যবস্থা নেই।
নির্বাচনে সহিংসতার দায়ভার কমিশন নেবে না দাবি করে সিইসি বলেন, আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছি। আইন শৃংখলায় সেনামোতায়েন করা হয়েছে। এখন মানুষ যদি সহিংসতা করে তাহলে আমাদের কি করার আছে। সবার মানষিকতা জিততে হবে। গণতন্ত্রের চর্চা না করে হাতে লাঠি তুলে নিলে যিনি সহিংসতা করবেন তিনিই দায়ী হবেন।