বিলেট আমদানিতে টন প্রতি সাড়ে ৫ হাজার টাকা শুল্ক নির্ধারণের দাবি

বিলেট আমদানিতে টন প্রতি সাড়ে ৫ হাজার টাকা শুল্ক নির্ধারণের দাবি

রডদেশীয় বিলেট উৎপাদনকারী স্টিল শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় বিলেট আমদানিতে শুল্ক বাড়িয়ে টন প্রতি সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন স্টিল ও রি-রোলিং মিল মালিকরা। তারা বলেন, বর্তমানে প্রতিটন বিলেট আমদানিতে শুল্কের পরিমাণ সাড়ে তিন হাজার টাকা। দেশে তৈরি বিলেট ও এম.এস রডের গুণগত মান আমদানিকৃত বিলেটের চেয়ে উৎকৃষ্ট হলেও আমদানির ক্ষেত্রে কোনো ধরণের ভ্যাট না থাকায় দেশীয় বিলেট উৎপাদনকারি স্টিল ও রি-রোলিং শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট শিল্পখাতের তিনটি সংগঠনের নেতারা আজ শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সাথে বৈঠককালে এ দাবি জানান। শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফরহাদ উদ্দিন, বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শেখ মাসাদুল আলম মাসুদ, ভাইস চেয়ারম্যান আনামুল হক ইকবাল, স্টিল মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শেখ ফজলুর রহমান বকুল, রি-রোলিং মিলস্ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিকসহ তিন সংগঠনের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে সংগঠনের নেতারা দেশীয় স্টিল ও রি-রোলিং শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন। এসময় তারা স্ক্র্যাপ ও স্পঞ্জ আয়রণ আমদানির ক্ষেত্রে টনপ্রতি নির্ধারিত অগ্রিম আয়কর আটশত টাকা এবং লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে সংগ্রহকৃত কাঁচামালের ওপর শতকরা ৪ ভাগ উৎসে মূসক প্রদানের প্রথা বাতিলের জন্য শিল্পমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। শুল্ক নির্ধারণের এ পদ্ধতি চলমান থাকলে উদীয়মান দেশীয় স্টিল শিল্প রুগ্ন হয়ে যেতে পারে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

নেতারা বলেন, বাংলাদেশে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিকমানের অটোমেটিক রি-রোলিং ও স্টিল শিল্প গড়ে ওঠেছে। এসব শিল্পে বিপুল পরিমাণে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি বিশ্বমানের বিলেট তৈরি হচ্ছে। তারা দেশীয় এ শিল্প বিকাশের জন্য টার্নওভারের ভিত্তিতে বিএসটিআই’র লাইসেন্সিং প্রথা বাতিল করে নির্দিষ্ট লাইসেন্স ফি নির্ধারণের দাবি জানান।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, অটো রি-রোলিং শিল্পসহ সবধরণের দেশীয় শিল্পের স্বার্থ সুরক্ষায় সরকার সাধ্যমত নীতি সহায়তা দেবে। তিনি বলেন, স্টিল ও রডের গুণগতমানের ওপর নির্মাণ কাজের স্থায়িত্ব নির্ভর করে। রড উৎপাদনে গুণগতমানের ঘাটতি থাকলে তা জানমালের নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকির কারণ হতে পারে বলে তিনি সতর্ক করেন। তিনি স্টিল ও রড উৎপাদনের ক্ষেত্রে মানের বিষয়ে কোনোধরণের আপোস না করার জন্য শিল্প মালিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। উদীয়মান দেশীয় স্টিল ও রি-রোলিং শিল্পের সুরক্ষায় আমদানিকৃত বিলেটে অধিক শুল্কারোপের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হবে বলে তিনি জানান।

অর্থ বাণিজ্য শীর্ষ খবর