বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ। বাঙালরি ঐতিহ্য লোকজ সংস্কৃতিকে ধারণ করে আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় পুরনো ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে থেকে শোভাযাত্রটি শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
শোভাযাত্রা সর্বস্তরের লাখো জনতার ঢল নামে। সম্প্রতি বিএনপি-জামায়াতসহ ১৮ দলীয় জোটের নেতাদের বিভিন্ন মিথ্যাচারের জবাবে দিতে এই শোভযাত্রার মধ্য দিয়ে রাজধানীতে বড় ধরনের শোডাউন দেখায় আওয়ামী লীগ।
রাজধানীর প্রতিটি থানা-ওয়ার্ড-ইউনিয়ন থেকে মিছিল সহকারে নেতাকর্মীরা সকাল ৭টার মধ্যেই বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে চলে আসে। ঢাকা মহানগরের অন্তর্গত আওযামী লীগের সংসদ সদস্যদের নেতৃত্বাধীন মিছিলগুলো ছিল বিশাল। আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোও নিজ নিজ ব্যানারে বড় বড় মিছিল নিয়ে যোগ দেয় এই শোভযাত্রায়। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, তাঁতী লীগ ছাড়াও মহনগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড, থানার ও ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। মূহূর্তের মধ্যে পুরো রাজধানী যেন মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়।
ঢাক-ঢোল, গরু-ঘোড়ার গাড়িসহ নানা সাজে সজ্জিত হয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই শোভাযাত্রা। অসংখ্য জনতার এই শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ, সাধারণ সস্পাদক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম।
শোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া সাড়ে পনেরো আনা পাকিস্তানি। এ কারণে বাঙালির উৎসব আনন্দে তারা মন দিয়ে যোগ দিতে পারেন না। তিনি (খাালেদা) যে জঙ্গিবাদী ধ্বংসাত্মক কাজ করেছেন, ইতিহাস বিকৃতি করেছেন, এ জন্য তাকে বাংলাদেশের রাজনীতি তো দূরের কথা দেশেই থাকতে দেওয়া উচিত না। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ মতায় এলে মানুষ শান্তিতে থাকে, স্বস্তিতে বর্ষবরণ উদযাপন করে। আর বিএনপি মতায় এলেই বোমা হামলা, জঙ্গিবাদের উৎপত্তি ঘটে। বাংলাদেশ নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ মতায় থাকলেই জাতীয় উৎসবগুলো আনন্দ নিয়ে পালন করতে পারে জনগণ। এ জন্যই পাঁচ বছর পর পর বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে মতায় আনে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য সুজিত রায় নন্দীসহ মহানগর আওয়ামী লীগে নেতৃবৃন্দ।