মালয়েশিয়ার জন্য জরুরি ভিত্তিতে দুই দফায় ৩৪ দিন করে ২০ জন কর্মকর্তা ও স্টাফ চেয়ে গত ৮ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট-সংক্রান্ত সেবা দিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ লোকবল চেয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে মন্ত্রণালয়ের এ চিঠির খবর সচিবালয়ে ছড়িয়ে পড়তেই মালয়েশিয়ায় যেতে আগ্রহী কর্মকর্তাদের মাঝে হুলস্থুল পড়ে গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের এ আগ্রহের নেপথ্যে রয়েছে ডলার উপার্জন। গত বছর সৌদি আরবে যাঁরা পাসপোর্ট সেবা দিতে গিয়েছিলেন তাঁরা এক মাস করে থাকলেও নিয়মিত বেতনের বাইরে সফরকালীন ভাতা বাবদ যে ডলার পেয়েছেন, তা ছয়-সাত লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা দিতে কে কতটা পারদর্শী তা এখানে মুখ্য নয়, যেকোনো মূল্যে সফরের সুযোগ বাগানো চাই।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, মালয়েশিয়ায় প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ বাংলাদেশি আছে। তাদের বড় একটি অংশের কাছে আছে হাতে লেখা পাসপোর্ট। জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান অ্যাসোসিয়েশনের (আইকাও) বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী, আগামী বছরের ২৪ নভেম্বরের মধ্যে হাতে লেখা পাসপোর্টের বদলে সবাইকে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট (এমআরপি) নিতে হবে। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে মালয়েশিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশিদেরও হাতে লেখা পাসপোর্টের বদলে এমআরপি দেওয়ার কাজ চলছে। বিপুলসংখ্যক এমআরপি আবেদনের চাপ সামলাতে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি হাইকমিশনে সাময়িকভাবে অতিরিক্ত জনবল প্রয়োজন। বিদেশে পাসপোর্ট-সংক্রান্ত সেবা দেওয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার সেবার অংশ। এ কারণেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে অতিরিক্ত জনবল চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।