প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় আস্থা ব্যক্ত করে বলেছেন, নববর্ষ সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা ও দেশবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার শক্তি যোগাবে।
আগামীকাল পহেলা বৈশাখ বাংলা নবনর্ষ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলা নববর্ষ জরা ও গ্লানি মুছে দিয়ে বাঙালির জীবনে ১৪২১ সন সুখ, সমৃদ্ধি ও অনাবিল আনন্দ বয়ে আনবে।
শেখ হাসিনা বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দেশবাসী ও প্রবাসী বাঙালিসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে ক্ষলেন, ‘বাঙালির সার্বজনীন উৎসব-বাংলা নববর্ষ। আমরা নববর্ষকে আবাহন করি প্রাণের স্পন্দনে, গানে-কবিতায়, আবেগের উত্তাপে।’
তিনি আরো বলেন, নববর্ষ মানেই লোকায়ত বাঙালি সংস্কৃতির বর্ণাঢ্য উৎসব। নতুন আশায় উদ্দীপ্ত হওয়ার দিন। আমাদের লেখক, কবি, শিল্পীদের ছন্দ, বর্ণ, তুলি ও সুরে তাই বাংলা নববর্ষ প্রতি বছর নতুন রূপে হাজির হয়।
‘পহেলা বৈশাখের পূর্বে চৈত্রসংক্রান্তি থেকে দেশের নানাস্থানে শুরু হয় বৈশাখি মেলা, হাট, আড়ংসহ নানা আয়োজন; যা বিনোদনের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে আনে নতুন গতি’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ক্ষলেন, বাংলা নববর্ষ আমাদের জাতীয়তাবোধ ও চেতনাকে শানিত করে। বর্ষবরণের উৎসবে এ চেতনাকে নস্যাৎ করার জন্য স্বাধীনতার আগে ও পরে বহু ষড়যন্ত্র হয়েছে। আঘাত করা হয়েছে বার বার। বোমা মেরে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক শক্তির কোন অপচেষ্টাই সফল হয়নি। বাঙালি জাতি নববর্ষকে ধারণ করেছে তার জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতির অনুষঙ্গ হিসেবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, পহেলা বৈশাখে বাঙালি সংস্কৃতির এ চর্চা আমাদের জাতিসত্তাকে আরও বিকশিত এবং আমাদেরকে আরও ঐক্যবদ্ধ করবে।