ইউক্রেনের রুশপন্থী জঙ্গীরা এবার দখলে নিল ক্রামাটর্স্ক শহরের পুলিশের সদর দপ্তর। এর আগে তারা পূর্বাঞ্চলীয় স্লাভিয়ানস্ক শহর দখলে নেয়। শনিবার পুলিশের ছদ্মবেশে এসে তারা দপ্তরে হামলা চালায়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে।
অতর্কিতভাবে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে জঙ্গীরা হামলা চালায়। ফলে পুলিশ জঙ্গীদের সঙ্গে পেরে ওঠে না। পুলিশের দপ্তর নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নেওয়ার পর তারা পুলিশ সদস্য ছাড়া আর সবাইকে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয় জঙ্গীরা। পুলিশের সদর দপ্তর ছাড়াও জঙ্গীরা ওই এলাকার আরও বেশকিছু সরকারি ভবনের দখল করে। এসব ভবনে তারা রাশিয়ার পতাকা উড়িয়ে দেয়।
এই ঘটনায় আঞ্চলিক পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘হামলাকারিরা এসেছিল দুটি বাসে চেপে। প্রথমে ছয়-সাতজন লোক বাস থেকে নেমে আকাশে গুলি চালায়। পুলিশ বাহিনী তাদের হামলা ঠেকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের চেষ্টা সফল হয়নি। সৈনিকদের পোশাক পরা এই লোকগুলো এখন পুলিশ স্টেশনের ভেতরে রয়েছে। তারা এটি দখল করে নিয়েছে।’
এদিকে দনিয়েৎস্ক শহরের রুশপন্থী বিক্ষোভকারীদের মুখপাত্র এই অভিযানকে সমর্থন জানিয়েছেন। ওই বিক্ষোভকারীরা এখনও ওই শহরের সরকারি কিছু ভবন দখল করে রেখেছে।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে জঙ্গীদের হামলা ও সরকারি দপ্তর দখলের ঘটনা নতুন নয়। এসব ঘটনার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, এসব ঘটনা রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পরিকল্পিত সহিংসতা এবং এতে মস্কোর সমর্থন আছে।
ইউক্রেনের অন্তর্বর্তী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর্সেন আভাকভ এই হামলাকারীদের সন্ত্রাসবাদী বলে বর্ণনা করেছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুশিঁয়ারি দিয়েছেন।
তিনি এর আগে অন্যান্য শহরে সরকারি ভবন দখল করে রাখা রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখল ছাড়ার জন্য ৪৮ ঘন্টার সময় বেঁধে দিয়েছিলেন।
এর আগে ক্রিমিয়ার রুশপন্থীদের বিক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে রাশিয়া এটিকে তাদের সীমানাভুক্ত করে নেয়। কিয়েভ সরকার আশংকা করছে, পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলোর ব্যাপারেও একই পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে রাশিয়া।
তবে রাশিয়া সেখানকার পরিস্থিতিতে তাদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।