‘গোপালগঞ্জ নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কটূক্তি’র নিন্দা জানিয়েছেন ওই জেলা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে শেখ সেলিম বলেন, ‘যে গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শুয়ে আছেন, যে গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না, সেই জেলা নিয়ে ক্ষমতাহারানো খালেদা জিয়া উন্মাদের মতো বেসামাল কথাবার্তা বলছেন। তিনি সুস্থ নন, অসুস্থ। উন্নত চিকিত্সার জন্য তাকে পাকিস্তানে চলে যেতে হবে, এদেশে তার চিকিত্সা হবে না।’
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শেখ সেলিম খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, ‘গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে পাকিস্তান রাখা যাবে না। বরং আপনাকেই ট্রেনে উঠে পাকিস্তানে চলে যেতে হবে।’
শেখ সেলিম বলেন, ‘খালেদা জিয়া নির্বাচনের ট্রেন মিস করে এখন ফুটপাত দিয়ে হাঁটছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান গোপালগঞ্জ নিয়ে তিনি যে সব কথা বলেছেন, তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এই জেলা নিয়ে আর একটি কটূকথা বললে জনগণ তাকে উচিত শিক্ষা দেবে।’
শেখ সেলিম বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী বললেন—বর্তমান সরকার নাকি ভুল ট্রেনে উঠেছে। ট্রেন নাকি লাইনচ্যুত। ট্রেন ঠিক পথেই চলছে। এয়ারকন্ডিশন ট্রেন আরো দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। খালেদা জিয়া তো ট্রেন পুড়িয়েছেন, মানুষ মেরেছেন। তিনি গোপালগঞ্জ দেখতে পারেন না। যারা পাকিস্তানের ট্রেনে হাবুডুবু খান, তারাই গোপালগঞ্জ পছন্দ করতে পারেন না। আইয়ুব খান ও ইয়াহিয়া খানও গোপালগঞ্জ পছন্দ করতেন না। কারণ, সেখানে বঙ্গবন্ধুর জন্ম। তারা দুজনই বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসির কাষ্ঠে নিয়েছিলেন, কিন্তু সফল হননি।’
শেখ সেলিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান তার কবরে লোকজনকে যেতে দিতেন না, সেখানে কাউকে মিলাদ ও দোয়া করতে দিতেন না, পুলিশ দিয়ে পাহারা দিয়ে রাখতেন। অথচ গোপালগঞ্জ হলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক তীর্থস্থান। যত দিন বাংলাদেশ থাকবে, স্বাধীনতা থাকবে, তত দিন গোপালগঞ্জও থাকবে।’
শেখ সেলিম বলেন, ‘এর আগে মার্চ ফর ডেমোক্রেসির নামে মার্চ ফর সন্ত্রাসের সময় খালেদা জিয়া তার বাড়িতে গোপালগঞ্জের নারী পুলিশকে লক্ষ্য করে কটূক্তি করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কারণেই খালেদা জিয়া এ দেশের প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা হতে পেরেছিলেন। কাজেই বঙ্গবন্ধু না চাইলে ফুটপাতেও খালেদা জিয়ার জায়গা হতো না। সুতরাং, তার বুঝে-শুনে কথা বলা উচিত।