অর্বাচীনরাই ইতিহাস বিকৃতি করে : নাসিম

অর্বাচীনরাই ইতিহাস বিকৃতি করে : নাসিম

image_76130_0স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, মাঠের রাজনীতিতে পরাজিত হয়ে বিএনপির নেতারা হতাশ হয়ে ইতিহাস বিকৃতি করার চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, ‘অর্বাচীনরাই সব সময়ে ইতিহাস বিকৃতি করে। ইতিহাস বিকৃতি করা অর্বাচীনদের কাজ। তারা রাজনীতির মাঠে পরাজিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা প্রলব বকে ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করছে।’
‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতিনন’ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এমন বক্তব্যের জবাবে নাসিম আজ বুধবার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে মুজিবনগর দিবসের প্রস্তুতি বৈঠকের প্রারম্ভিক বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এই সমস্ত অর্বাচীনরা ইতিহাস বিকৃতিতে অর্বাচীন হিসেবে কাজ করছে। যাদের কথাগুলোর মধ্যে সামান্যতম সত্যতা নেই। যার হাত ধরে দেশের স্বাধীনতা এসেছে। হাজার বছরের সেই শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনও ষড়যন্ত্র করছে। তারা ইতিহাস বিকৃতি করছে। এরা মূলত পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করছে।
বিএনপিকে বাংলাদেশের রাজনীতির ক্যান্সার হিসেবে আক্ষায়িত করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, সকল দিক থেকে পরাজিত হয়ে বিএনপি বিভিন্ন ফন্দি ফিকির করছে। তাদের কোন ফন্দি ফিকির সফল হচ্ছেনা।
মুজিব নগর দিবস উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ৭১’এ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিরোধীরা রাজারকার, আলবদর, আলসামস বাহিনী গঠন করে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করেছিল। আর তাদের এখন সহযোগিতা করছেন বেগম খালেদা জিয়া।
‘জিয়াউর রহমান প্রথম রাষ্ট্রপতি’ বিএনপির এমন দাবীর জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ছবিতে স্পষ্ট প্রমাণ আছে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর জিয়াউর রহমান তাকে স্যালুট দিচ্ছেন। তিনি যদি রাষ্ট্রপতি হতেন, তাহলে কিভাবে গার্ডের দায়িত্ব নেন।
বিএনপি নেতাদের মস্তিস্ক বিকৃতি ঘটেছে দাবী করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, মস্তিস্ক বিভ্রাট না ঘটলে এই ধরনের মন্তব্য কেউ করতে পারে না।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও বি এ এম মোজাম্মেল হক, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভুইয়া ডাবলু, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দফতর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কার্যনির্বাহী সদস্য সুজিত রায় নন্দী ও এস এম কামাল, সংসদ সদস্য এ এইচ খায়রুজ্জামান লিটন প্রমুখ।
এছাড়াও বৈঠকে খুলনা বিভাগের অন্তর্গত আওয়ামী লীগের সকল জেলা শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ রাজনীতি শীর্ষ খবর