বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিনটাকেই বেছে নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ১৭ ফেব্রুয়ারি পুর্ন হলো আইসিসি বিশ্বকাপের এক বছর পুর্তী। সে লক্ষ্যে শুক্রবার বিশ্বকাপের স্বেচ্ছাসেবক এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পারফরর্মারদের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়।
মিরপুর সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বেচ্ছাসেবকদের হাতে সনদ তুলে দেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘আওয়ামীলীগ সরকার সব সময় ক্রীড়া উন্নয়নে কাজ করছে। আমাদের সরকার ক্রীড়া বান্ধব সরকার। আমরা অবকাঠামো নির্মাণসহ সবধরণের সহায়তা প্রদান করেছি। ক্রীড়া সাংস্কৃতিক বিকাশকে ত্বরান্বিত করে। অপরাধ প্রবণতা কমায়। মাদকাসক্তিসহ অন্যান্য নেতিবাচক প্রভাব থেকে যুবসমাজকে দূরে রাখে। তাই আমি সকলকে আহবান জানাব আসুন ছেলে মেয়েদের হাতে খেলাধুলার সরঞ্জাম তুলে দেই।’
২০১১ সালে আইসিসি বিশ্বকাপের সহ-আয়োজকের দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ গ্রুপ পর্বের ছয়টি, দুটি কোয়ার্টার ফাইনাল এবং চারটি প্রস্তুতি ম্যাচসহ মোট ১২টি খেলা আয়োজন করে বিসিবি।
২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বাকপেরও আয়োজক বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যাতে সফল হয় তার জন্য এখন থেকেই আমরা উদ্যোগ নেবো।’
অনুষ্ঠানে বিসিবি সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন,‘সাকিব তামিম যা পারেনি ক্রিকেটকে তারচেয়ে উপরে নিয়ে যাবে। তোমরাই পরবর্তীতে ক্রিকেটকে নেতৃত্ব দিবে।’
এদিকে ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজন করে বিসিবি নেট ৫৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা আয় করেছে বলে জানান মোস্তফা কামাল। স্থানীয় আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল জানান, টিকিট বিক্রি থেকে আয় হয়েছে ২৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সেনা প্রধান জেনারেল আবদুল মুবিন। রাষ্ট্রদূতগণ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ বরেণ্য ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা।